খুনের চেয়ে দুর্নীতি মারাত্মক অপরাধ: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৮

নিজস্ব প্রতেবেদক, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার আসামিরা মাটির নিচে থাকলেও সেখান থেকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে বলে তাগিদ দিয়েছে হাইকোর্ট। দেশের এই উচ্চ আদালত বলেছে, দুর্নীতি খুনের চেয়েও মারাত্মক অপরাধ।

আজ রবিবার ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় এক রুলের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আমিনুল ইসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেন, ব্যাংকের অর্থ জনগণের সম্পদ।

আদালত বলেন, যেকোনো মূল্যে ব্যাংকের আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধার করতে হবে। প্রয়োজনে আসামিদের সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা আদায় করতে হবে। এদের কোনো ক্ষমা নেই।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভুয়া বিলের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ওই শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

এর আগে গত ১৬ জুলাই কেন আমিনুলকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানাতে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া।

জানা গেছে, আসামিরা একে-অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল নথি তৈরি করে ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে ২৬টি রপ্তনি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩টি বিলের মূল্য ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন।

বাকি ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/এআইএম/মোআ)