যশোরে বিজয় দিবসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:২২

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোরের মণিরামপুরে বিএনপি নেতা শহীদ ইকবাল ও আবু মুছা সমর্থকদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিল। সোমবার সকালে বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মুছা গ্রুপের অফিসের সামনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মুছা গ্রুপের দুজন আহত হয়েছেন।

তারা হলেন- সামছুজ্জামান শান্ত ও ইজাজুল।

এদিকে, সংঘর্ষের পরপরই পৌর ছাত্রদলের সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের মোবাইল সার্ভিসিং ও কম্পিউটারের দোকানের তালা ভেঙে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু মুছা জানান, সকালে উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে নিজ বাসার সামনে অস্থায়ী কার্যালয়ে দলীয় অনুসারীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করেন তিনি। আলোচনা শেষে খাবার বিতরণের কাজ চলছিল। তখন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল তার অনুসারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎ শহীদ ইকবালের কয়েকজন অনুসারী তার (মুছা) সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে অফিসের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করে। হামলায় তার অনুসারী শামছুজ্জামান শান্ত ও ইজাজুল নামে দুইজন আহত হন বলে দাবি করেন আবু মুছা। 
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের মদদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন মুছার অনুসারীরা।

তবে হামলার ঘটনায় ভিন্ন কথা বলছেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘র‌্যালি নিয়ে ফুল দিয়ে ফেরার পথে মুছা গ্রুপের কয়েকজন আমার লোকজনকে কটূক্তি করে। আমার সাথে থাকা কেউ যেন কোনো প্রকার শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করে, সেই জন্য পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু ও সম্পাদক নিস্তার ফারুকসহ সিনিয়র নেতারা ব্যারিকেড দিয়ে ওই স্থান পার হচ্ছিলেন। তখন মুছা গ্রুপের লোকজন খাইরুল ইসলামের পানজাবি ধরে টানাটানি করে এবং ছাদের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছোড়ে। তারা আমার লোকজনকে ধাওয়া করে। পরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত। কোনো পক্ষ মামলা করতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এলএ)