ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে মুখোশধারীদের হামলা-ভাঙচুর, অন্তঃকোন্দলের অভিযোগ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১৮ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিজয় দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় মুুখোশ পরা দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে।

আজ সোমবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে শহরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার নির্দেশে এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম।

জানা যায়, আজ সোয়া নয়টার দিকে মুখোশ পরা ৮-১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত মঞ্চ, অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।

হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। মিছিলটি শহরের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ও অন্য মুক্তিযোদ্ধারা।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা হলো প্রকৃত রাজাকার। জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার নির্দেশে এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

হামলাকারীদের তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি জেলা পরিষদের আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠান। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। তবে জেলা পরিষদ অনুষ্ঠানটি বিকেলে, সকালে বা রাতে করতে পারত বলে মনে করেন তিনি।

আল মামুন সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা হয়। তা না করে তারা এই সময়টা কেন বেচে নিল? ডিসি যেটা দেন সেটা তো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেন। ৪৮ বছরের মধ্যে তো জেলা পরিষদ কোনোদিন এমন করেনি!’

তার পরও জেলা পরিষদের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ জন্য ওয়েলকাম। তবে এটা সাবোটাজ করার জন্য। সব মুক্তিযোদ্ধা ওখানে। ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, হামলার ঘটনার তদন্ত করছেন তারা। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/মোআ)