নানা আয়োজনে সারাদেশে বিজয় দিবস উদযাপন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৫৭ | প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৬

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সারাদেশের মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন জাতির বীর সন্তানদের প্রতি নানা আয়োজনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো-

চট্টগ্রাম: মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন নগর পিতা আ জ ম নাছির উদ্দিন।

বিজয়ের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র। এরপর তিনি কাউন্সিলর ও চসিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন সিটি কর্পোরেশন সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মেয়র ক্রমান্বয়ে জান টাইগার পাস বিন্না ঘাস প্রকল্পে চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলালীগ স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাংসদ আফসারুল আমিন, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, বন ও গবেষণা সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, উপ দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, এইচ এম সোহেল, এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নগর যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী।

রাজশাহী: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারা।

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকালে নগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। র‌্যালিটি নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট হয়ে মনিচত্বর ঘুরে রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে লোকনাথ স্কুল হয়ে সিটি কলেজের সামনে দিয়ে মালোপাড়া হয়ে গণকপাড়া হয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে বিজয়ের প্রথম প্রহর সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে প্রথমেই রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাজশাহী ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুর রহমান খান, সাদরুল ইসলাম, আবদুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, নাজমুল করিম অপু, জাসদের নগর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, জাতীয় যুবজোট, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে রাজশাহীর কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর রাতেই রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

এদিকে সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে রাজশাহীতে দিবসটি যথযাথভাবে পালন করা হয়।

সিলেট: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সকালে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি।

পরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাঙালির বহুল কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার স্বর্ণোজ্জ্বল দিন আজ। বিজয় উৎসবের মূলে রয়েছে লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর অগণিত মানুষের সীমাহীন ত্যাগ। যা জাতীয় জীবনে অম্লান ইতিহাস।

এসময় সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিসিকের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লৌদী, শান্তনু দত্ত্ব শন্তু, আজম খান, তারেক উদ্দিন তাজ, সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, রুহুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, এসেসর চন্দন দাশসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোলা: রাজাকার যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যা লি করেছে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ।

উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবসের এ র্যা লিটি বেলা ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগে কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের বাংলাস্কুল মাঠে এসে শেষ হয়।

র‌্যালিতে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ইউনুছ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।

দিনাজপুর: নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনাজপুরে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিনটির প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহিলা আসনের সাংসদ জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই। পরে জেলা প্রশাসক মাহামুদুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ শিক্ষা বোর্ড, আইনজীবী সমিতি, দিনাজপুর প্রেসক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দিনাজপুর বড় ময়দানে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালির করিমুল্ল্যাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রামীণ বিভিন্ন খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে রংধনু যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি।

সমিতির সভাপতি মিনারুল ইসলাম মিনারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে চ্যানেল আইয়ের স্টাফ রিপোর্টার ও ঢাকাটাইমসের নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর) শাহ্ আলম শাহী, চেরাডাঙ্গী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সোহাগ, ইউপি সদস্য গুলজার হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

লক্ষ্মীপুর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে লক্ষ্মীপুরে উদযাপিত হয়েছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় চত্বর স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন ৩ আসনের সাংসদ একেএম শাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ও পুলিশ সুপার এএইচএম কামরুজ্জামান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন।

পরে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শহরের বাগবাড়িস্থ গণকবরে পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়াও বিজয় র‌্যালিসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

মাগুরা: মাগুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে সকাল সাড়ে ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রর্দশন করে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বেলা ১১টায় শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে হাসপাতাল, এতিমখানা ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় তোপধ্বনি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

সকালে স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। এসময় কোর্ট মাঠে মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিভিন্ন ভাস্কর্যের ডিসপ্লে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কোর্ট মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, ওসি নুর এ আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ দুদু প্রমুখ।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ২১ বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে গুরুয়াল সরকারি কলেজ মাঠে স্মৃতিসৌধে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন জেলা পুলিশ, সদর উপজেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা পরিষদ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্থাপন করা হয়। সকাল ৮টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীরমুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।

এ সময় জেলা পরিষদ প্রশাসক জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদির মিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট এর সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদ উল্লাহ, পৌর মেয়র পারভেজ মিয়াসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়।

দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মসজিদ-মন্দিরে জাতির কল্যাণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল এতিমখানা ও কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকালে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনাসভা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গেরিলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন, সরকারী বেসরকারি ভবন আলোকসজ্জা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান, প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

পাবনা: যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পাবনায় উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা পুলিশ প্যারেড ময়দানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।

এরপর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

পরে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সংবাদিক, রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এ সময় স্মৃতিস্তম্ভে নানা পেশাজীবী মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে দাাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সকাল আটটায় শহীদ আমিনুদ্দিন স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শনের মধ্যদিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। পরে শরীর চর্চা ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদানসহ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পটুয়াখালী: মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।

দুপুরে জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মইনুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার, পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

বিজয়ের এই দিনে পৌর শহরে মুক্তিযোদ্ধা উদ্যান নির্মাণ ও কোন মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহনের ঘোষণা দেন পৌর মেয়র।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজবাড়ী রেলগেটস্থ শহীদ সমঋতি ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্বা জানায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

পরে কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।

মহান বিজয় দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শহরে র‌্যালি করেন।

টাঙ্গাইল: আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। নয় মাস রক্তঝরা যুদ্ধের পর ৭১’র এই দিনে বিজয় নিশ্চিত হয়। মাসটি এলেই বাঙালি জাতি স্মরণ করে সেইসব অকুতভয় যোদ্ধাদের। যাদের সাহসিকতা আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন জাতি, সার্বভৌমত্ব একটি দেশ। সারাদেশের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন করেছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় টাঙ্গাইলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনতা শহীদ স্মৃতিস্তবে পুস্পস্তবক অর্পন করে।

পরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। কুচকাওয়াজে জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রীতি টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংর্বধনা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত প্রার্থনা, জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবার (বালক ও বালিকা) এবং নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে উন্নত খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা পর্যায়েও স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে।

মাদারীপুর: সোমবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে পুলিশ লাইনস্ ময়দানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকালে মাদারীপুর ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় র‌্যালি, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় র‌্যালি, সকাল ৮টায় আছমত আলী খান স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজ, বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিসপ্লে, বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, দিনব্যাপী নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মন্দির, মসজিদ, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা, স্বাধীনতা অঙ্গনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সাথে জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রতীক উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকির হোসেন বাচ্চু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সাবেক পৌর মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

বোয়ালমারী (ফরিদপুর): মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়। বোয়ালমারী থানা চত্বরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের নেতৃতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮টায় বোয়ালমারী কলেজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের গণকবরে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বোয়ালমারী প্রেসক্লাব, উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবদল, ছাত্রদল, জানা সমাজকল্যাণ সংস্থা, বোয়ালমারী সাংস্কৃতিক ঐক্যমঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনতা।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবধর্না, মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

রাজৈর (মাদারীপুর): রাজৈর উপজেলা মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা ইউএনও সোহানা নাসরিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব মিয়া, পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ মুন্সী, ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক বাবুল, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিনা মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকান্দার আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুব আলী মিয়া প্রমুখ।

পাইকগাছা (খুলনা): খুলনার পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন পক্ষে স্থানীয় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়ন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাতুল আলম, থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষে সাবেক এমপি শেখ নূরুল হক ও সোহরাব আলী সানা, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, বিএনপির পক্ষে আব্দুল মজিদ, জিএম আব্দুস সাত্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীতিশ চন্দ্র গোলদার, সুজন কুমার সরকার, পাইকগাছা কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরণ মণ্ডল, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি এফএমএ রাজ্জাক, সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন ও আব্দুল আজিজ, সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দীন প্রমুখ।

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): ভৈরবে যথাযোগ্য মযার্দায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিভাস্কর্য দুর্জয় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা আ‘লীগ ও উপজেলা বিএনপি, ভৈরব প্রেসক্লাব, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভৈরব চেম্বারসহ অন্যান্যরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

পরে পানা উল্লার চরে গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে ৩১ বার তোপধ্বনির আয়োজন করা হয়। তারপর সকাল নয়টায় শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার দেয়া হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধভিত্তিক আলোচনা, প্রীতিভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সায়দুল্লাহ মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা, পৌর মেয়র ফখরুল আলম আক্কাছ, ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন, ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথি ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে স্থানীয় এতিমখানায় খাবার সরবরাহ, মসজিদ, মন্দিরে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বিকালে প্রীতিফুটবল ও মহিলা ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন শেষ হয়।

বেনাপোল (যশোর): মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্দর নগরী বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে ১০ জন দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে অর্থিক অনুদান ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সকালে কাস্টমস অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম নুরুল হক।

কাস্টম’স এর অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বেনাপোল মুক্তিযোাদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার শাহ আলম, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা।

এর আগে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তপক দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে ভারতীয় কাস্টম, বিএসএফ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিজয় দিবসের মিষ্টি ও ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্টে ভারত যাওয়া আসার সময় পাসপোর্ট যাত্রীদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট , শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহে ত্রিশালে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়। সরকারি নজরুল একাডেমি মাঠে কুচকাওয়াচে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাকির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরশাদ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা প্রমুখ।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া): কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন- দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম, সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন, দৌলতপুর থানার ওসি আরিফুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, সাত্তার আলী, আবু আফ্ফান, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাক্কির আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।

এদিকে গোয়ালগ্রাম কলেজ, দৌলতপুর (রেফাইতপুর) উপজেলা ডাকঘরসহ বিভিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলার কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকালে স্থানীয় ইসলামিয়া সরকারি হাই স্কুল মাঠে পুলিশ, আনসার ও উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে¬ প্রদর্শন করে।

কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল ও নির্র্বাহী কর্র্মকর্র্তা কাজী মাহবুব উর রহমান, গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্র্জ অনুকুল সরকার ও পাগলা থানার অফিসার ইনচার্র্জ শাহিনুজ্জ¥ান খান। পরে একই স্থানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ): গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন ও নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে গজারিয়া পাইলট হাই স্কুল মাঠে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী। প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমাম রাজী টুলু, মৎস্য অফিসার আসলাম হোসাইন শেখ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর প্রতীক রফিকুল ইসলাম, তানেসউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-আধা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহ ও বাজারস্থ দোকানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মতলব উত্তর থানা, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া। এ সময় উপজেলার বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক।

এ সময় বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক, ভাইস-চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, আজাহারুল ইসলাম, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান সরকার হিতেস চন্দ্র পুলক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন মনি প্রমুখ।

দিবসটি উপলক্ষে একই স্থানে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মার্চপাস্ট ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মির্জাপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ স্মরণে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

রাণীনগর (নওগাঁ): যথাযোগ্য মর্যাদায় নওগাঁর রাণীনগরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তোপধ্বনি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

সকাল ৯টায় রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো ও বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরঙ্গনা), যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের সহধর্মীনি সুলতানা পারভীন বিউটি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমাইল হোসেন, রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ দুলু, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন প্রাংসহ আরো অনেকেই। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের সকল সপ্তরের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে, রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, রাণীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবসহ রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।

ভালুকা (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ভালুকায় নানা আয়োজনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন।

ভোর ছয়টা ৩৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে ভালুকা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ভালুকা ডিগ্রি কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল, ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাঈন উদ্দিন।

এরপর জাতীয় পতাকাকে ছালাম প্রদর্শন করে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় পুলিশ, আনসার, ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ মনিরা সুলতানা মনি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল, ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাঈন উদ্দিন।

পরে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা শারীরিক কসরত ও খেলাধুলায় অংশ নেয়। দুপুরে উপজেলার হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জোহর সকল শহীদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। বিকালে লেডিস ক্লাবে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভালুকা ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বনাম উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার মাঝে এক প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ): তাহিরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা গণমিলনায়তন কেন্দ্রে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুছ ছোবাহান আখঞ্জি, সহসভাপতি নুরুল আমিন, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, ফ্রান্স আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আবেদীন মোহাম্মদ নুরুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাহিদ, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এমদাদ নূর, হোসাইন শরীফ বিপ্লব, খসরু ওয়াহিদ চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবুল বাশার প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহবুবুর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :