‘মাগুরার রাজাকারদের তালিকা থানা থেকে গায়েব করা হয়’

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৮

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সরকারের করা ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকারদের নামের তালিকা মাগুরার থানা থেকে গায়েব হওয়ার অভিযোগ মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।

মঙ্গলবার সকালে মাগুরার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকা নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেটি পাকিস্তানিদের করা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা রাজাকারদের ভাতা দেয়ার জন্য প্রতিটি থানায় তালিকা করেছিল। প্রকাশিত তালিকাভুক্তরা হচ্ছে পাকিস্তানিদের ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকার। এই তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কিংবা আওয়ামী লীগ করেনি।’

শিখর বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য মাগুরায় এই তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা তাদের সরকারের আমলে এটি থানা থেকে গায়েব করে দিয়েছে। আমরা এটি সন্ধান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সহ-সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ্, মুন্সি রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, বাসুদেব কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশিদ হায়দার টুটুল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বিপু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হাসান মাকুল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল, অ্যাডভোকেট রাশেদ মাহমুদ শাহিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান প্রমুখ।

থানা থেকে গায়েবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাগুরা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে চিঠি পেলে আমরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্যা নবুওয়াত আলী বলেন, ‘মাগুরা সদর উপজেলার রাজাকার আল বদরদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই জমা দেয়া হয়েছে। অন্য তিন উপজেলা থেকে তালিকা পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/ইএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :