জামালপুরে বীর বিক্রম ‘শহীদ খুররম স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:০৭

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর শেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররম বীর বিক্রম স্মরণে জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় ‘বীর বিক্রম শহীদ খুররম স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে এই স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন।

মুক্তি সংগ্রাম যাদুঘর-জামালপুর, বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ খুররমের পরিবারবর্গের উদ্যোগে এই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বেলটিয়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ বীর বিক্রম শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররমের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।

বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালানা পরিষদের সভাপতি মো. আবুল মনসুর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বীর বিক্রম শহীদ শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররমের স্মৃতি চারণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা।

অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খুররমের স্মৃতিচারণ করে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, শহীদ খুররমের সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) মো. সাখাওয়াত হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ফাররোখ আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী ফকির, মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর-জামালপুরের পরিচালক হিল্লোল সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু, শহীদ খুররমের জ্যেষ্ঠ সহোদর মো. আলমগীর হোসেন ও কণিষ্ঠ সহোদর শাহ মুসতাকিম বিল্লাহ শিবলী, বোন শাহী রেবেকা শারমিন, খালু মো. সামিউল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, শহীদ বীর বিক্রম শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররম ১৯৫১ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন জামালপুর মহকুমার শ্রীবরদি থানার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত প্রগতিশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শাহ মো. মোশাররফ হোসেন এবং মা বেগম ফজিলাতুন নেছা। খুররম ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোরে জামালপুর শহরকে পাকহানাদার মুক্ত করার শেষ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে শহরের বেলটিয়ায় সন্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর অসাধারণ দেশপ্রেম, অসীম সাহসিকতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করেন।

ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :