‘শান্তি কমিটির সদস্য হলেই রাজাকার হয়ে যায় না’

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৩ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৯

আলী ইমাম চৌধুরী
আলী ইমাম চৌধুরী

রাজাকার তালিকা প্রণয়নের কাজটা অনেক কাঁচা হাতে হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বরিশালের তালিকায় ৪৩ জন হিন্দু রাজাকারের নাম রয়েছে। কেউ শান্তি কমিটির সদস্য হলেই রাজাকার হয়ে যায় না।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ডান্ডি কার্ড ছাড়া চলাচল সম্ভব ছিল না। আমি ও সহযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী (ইয়াকুত) আমাদের চাল্দুরা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তবদিল হুসেনকে আমাদের নামে ডান্ডি কার্ড ইস্যুর জন্য অনুরোধ করি। উনি শর্ত দিলেন ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের পক্ষে বক্তব্য রাখতে হবে। পাক আর্মি পরিবেষ্টিত চান্দুরা বাজারে আমরা দুজন বক্তব্য রাখি। তবদিল হুসেন আমাদের দুজনের নামে ডান্ডি কার্ড ইস্যু করেন।

ওইদিন রাতেই সহযোদ্ধা বর্তমান এমপি রবিউল এবং ইয়াকুতসহ আমার নেতৃত্বে জালালপুর গ্রামে তবদিল হুসেনের বাড়িতে অপারেশন করি। ফলশ্রুতিতে তবদিল হুসেন নিহত হন।

এরপরই আমরা নেপথ্যে থেকে আমাদের গ্রামের আফতাব উদ্দীন সিদ্দিকী ওরফে আফতাব মোল্লাকে চান্দুরা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করি। তাই বলে আফতাব মোল্লা রাজাকার হয়ে যাবেন? আমার নেতৃত্বে নাসিরনগর থানার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তখন আমার আপন ফুফা নাসিরনগর ইউনিয়নের এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি বেশ কয়েকবার আমার দশ/বারো সহযোদ্ধা নিয়ে টেকানগর ওনার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। উনি বহু লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তাঁকেও যদি রাজাকার তালিকায় দেখি বিষ্মিত হব না। আমার আবেদন এভাবে গয়রহ তালিকা দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাল কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।

লেখক: সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)