যানজট কমাতে স্বয়ংক্রিয় টোল সিস্টেম চান অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২২

অটোমেটিক টোল সিস্টেম চালুর পরামর্শ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘টোল সিস্টেমকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে। টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও জ্যাম তৈরি করা যাবে না।’

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মহাসড়কের লাইফটাইম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টোল সিস্টেমকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপেই করতে হবে। নামকা ওয়াস্তে বা অর্ধেক করলাম, অর্ধেক করলাম না তা হবে না। পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট সীমা পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পরিশোধ হবে। টোল প্লাজায় কোনো যানজট হবে না।’

প্রধানমন্ত্রীরও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সড়ক সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে টাকা না নিয়ে টোলের টাকা দিয়েই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। টেকসই সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিদেশি দক্ষ ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সড়কের অবস্থা ভালকরা অত্যন্ত জরুরি, তাই এ বিষয়ে আমাদের অত্যন্ত আন্তরিক হতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে গিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ প্রমুখ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বেস্ট রোড তৈরি করেছে সিঙ্গাপুর। সেগুলো আমরা দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। তেলের পরিবর্তে যদি পরিবহন সেক্টরে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়নো যায়, তাহলে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার সেভ হবে। বিশে^র সব দেশে পরিবহন সেক্টরগুলো বিদ্যুতে চলে যাচ্ছে। শুধু আমরাই পারছি না। প্রোপার ইক্যুইপমেন্ট ছাড়া কেন কন্টাকটারকে কাজ দেবো। জাতীয় পর্যায়ে পরিসংখ্যান দরকার। দক্ষতার ঘাটতি থাকলে তা পুরণ করতে হবে।

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যারা সড়ক নির্মাণ করে, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদেরকেই দেয়া উচিত। এটা করা হলে একদিকে কাজের মান ভালো হবে, অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ভাবনাও কমে আসবে।’

ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর জেআর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

বয়কটের ডাকে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও ক্রেতা নেই

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :