প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন

এ,‌কে মামুন, ফ্রান্স
 | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:২৮

যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সকালে রাষ্ট্রদূত জনাব কাজী ইমতিয়াজ হোসেন জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর সন্ধ্যায় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটকসহ ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন যার বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন।

এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কো- তাদের ২০২০ সালের অ্যানিভার্সারি প্রোগ্রামের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে অন্তর্ভুক্ত করে এ আয়োজনকে আন্তর্জাতিকীকরণ করেছে এবং যৌথভাবে এ আয়োজনে বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। এ অর্জনের শুরু থেকে বলিষ্ঠ দিকনির্দেশনার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ সাফল্যের অংশীদার ফ্রান্স প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকেও তিনি ধন্যবাদ জানান। একই সাথে তিনি মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ আয়োজনে প্রবাসী সকলের অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাংস্কৃতিক পর্বের পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :