এক যুগেও গতি হলো না সেতুটির

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরএলাকার আলমনগর ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ চলাচলের জন্য নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা। ২৫ বছর আগে নির্মিত সেতুটি গত একযুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সেতুটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটি ব্যবহারে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

ভাঙাচোরা এ সেতুর উপরে গাড়ি উঠাতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকার সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমানে সেতুটিতে গাড়ি উঠানোর সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বহু লোক পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সেতুটির রেলিংগুলো একেবারেই ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা সেতুটি দিয়ে পারাপারের সময় রেলিংগুলোর জায়গায় বাঁশ ব্যবহার করে পারাপার হচ্ছেন। যে বাঁশ দিয়ে রেলিংগুলো জোড়া দেয়া হচ্ছে, সেগুলো সপ্তাহ পার হলেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ এলাকা থেকে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সেতুটি। প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢালাই উঠে গিয়ে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সরু এই সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে সেতুটিতে উঠতে গিয়েই বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।

এলাকার জনপ্রতিনিধি আবু হানিফ বলেন, ‘৯৫-৯৬ সালের দিকে ভাটা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু ৫-৭ বছর আগে সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। সেতুটিতে যানবাহন উঠলে কেঁপে উঠে, যে কোন সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।’

স্থানীয়রা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা না হলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে নবীনগর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শিব শংকর দাস জানান, সেতুটি নির্মাণে শিগগির প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :