ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৪৪

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা সভা ও রেমিট্যান্স পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দূতাবাসের স্থায়ী ভবনের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার এবং পরিচালনা করেন কাউন্সিলর এরফানুল হক।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সব সদস্যভুক্ত দেশে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক হারে অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়কে ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসীদের জন্য উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দূতাবাস সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ১৬২টি দেশে প্রায় এক কোটি অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন। দেশমাতৃকার উন্নয়নে ঐ শ্রমিকদের ঘাম-ঝরানো অর্থের যথোপযুক্ত স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদত্ত হয় এবং স্বদেশের উন্নয়নে তারা আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে,সেই লক্ষ্যে ৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন।

‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই-ই মেলে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের ক্রমবর্ধমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকার দক্ষতা উন্নয়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপের প্রেক্ষিতে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি আশা করি, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রবাসীরা নিজ নিজ অবস্থান হতে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবেন, অভিবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বিশ্বময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, অভিবাসী কর্মীরা দেশের গর্ব। বিপুলসংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তারাও গর্বিত অংশীদার।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিযোগিতামূলক এ শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’র সুফল কাজে লাগাতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদ্যমান শ্রমবাজার সুসংহত ও নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে প্রত্যাশা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :