যৌতুকের আগুনে পুড়ে মরলেন গৃহবধূ রুমা

প্রকাশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৩৪ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৪৬

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন রুমা আক্তার (২০) নামে দগ্ধ এক গৃহবধূ। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে তিনি মারা যান। অভিযোগ রয়েছে যে, যৌতুক না দেয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আগুন দিয়ে দগ্ধ করেন।

নিহত রুমা আক্তার সদর উপজেলার শিলমান্দি ইউনিয়নের মধ্য শিলমান্দি এলাকার রাজমিস্ত্রী কাজল মিয়ার মেয়ে ও মাধবদীর গদাইরচর এলাকার বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বিপ্লব ও রুমা দম্পতির। বিয়ের পর থেকেই রুমার পরিবারের কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল বিপ্লব ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ইতোপূর্বে একাধিকবার কলহেরও সৃষ্টি হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবার বিবাদের সৃষ্টি হয়। এসময় বিপ্লব তার অপর দুই ভাই সৌরভ ও সৈকত এবং বাবা দুলা মিয়াসহ প্রথমে তাকে আঘাত ও পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় রুমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলেও শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক কন্যা সন্তারের এই জননীর।

নিহত খাদিজার বাবা ও মামলার বাদী কাজল মিয়া জানান, ‘যৌতুকের টাকা দিতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, মামলা হওয়ার পরপরই নিহত খাদিজার স্বামী বিপ্লব মিয়া ও শ্বশুর দুলা মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/এলএ)