লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীতে ঠাসাঠাসি

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:২২

আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মীপুরে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় আট শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। ভর্তি হয়েছে তিন শতাধিক শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র একই।

পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের প্রতি বেডে এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও ৩-৪ জন শিশুকে এক বেডে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসব শিশু চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভিড় করছে। আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে ৭০/৮০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ৩৫/৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে এখানে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় সাত শতাধিক রোগী। এর মধ্যে চার শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আসছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ভর্তির পর হাসপাতাল থেকে তাদের খাবার স্যালাইন ও সামান্য কিছু ওষুধ দেয়া হয়। বাকি ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। এছাড়া তেমন চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। 

সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইছমাইল হাসান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে ৭০/৮০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধ্যমতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুদের গরম কাপড় পরিধানসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

(ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/এলএ)