মধু খাঁটি কি না? ঘরে বসেই পরীক্ষা করুন
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান মধু। সারা বছরই এর চাহিদা ব্যাপক। তবে শীতের সময় মধুর চাহিদা আরও বেড়ে যায়। ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে উদ্ধার পেতেই শুধু নয়, মেদ ঝরাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, সংক্রমণ রুখতে মধুর ভূমিকা অনেক।
প্রাকৃতিকভাবে মধু কিছুটা অ্যান্টিসেপ্টিকেরও কাজ করে। তাই ক্ষত সারাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তবে মধুর চাহিদা যতই বেড়েছে, ততই এর জোগানে এসেছে ভেজাল।
নামি ব্র্যান্ডের মধুতেও নানা সময়ে মিলেছে ভেজাল। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নামে রাসায়নিকযুক্ত ভেজাল মধুও বিক্রি করেন কেউ কেউ। তবে আপনি একটু সাবধান হলেই কেউ আপনাকে ভেজাল মধু দিয়ে ঠকাতে পারবে না।
খুব সহজেই আপনি মধু খাঁটি কি না তা পরীক্ষা করতে পারেন। চলুন তেমনই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
- এক টুকরো ব্লটিং পেপারে কয়েক ফোঁটা মধু ঢালুন। যদি ব্লটিং পেপারটি সম্পূর্ণ মধু শুষে নেয়, তবে বুঝতে হবে এ মধু খাঁটি নয়।
- শীতে মধু দানা বাঁধছে না? তা হলে জানবেন এতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক বা প্রিজারভেটিভ মেশানো রয়েছে।
- মোমবাতির সলতে মধুতে ডুবিয়ে তাকে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বালাতে সক্ষম হন তা হলে বুঝবেন এই মধু খাঁটি। না জ্বললে সেই মধুতে ভেজাল রয়েছে।
- পরিষ্কার একটি সাদা কাপড়ের টুকরোয় কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি সহজেই দাগ উঠে যায়, তবে সে মধু একেবারেই খাঁটি নয়। মধুর দাগ সহজে যাওয়ার নয়।
- মধুর ঘনত্ব পানির চেয়ে বেশি। তাই পানি-মধুতেও খুব একটা মিশ খায় না। আধা কাপ পানিতে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়াল রাখুন তা পানিতে মিশে যাচ্ছে কি না। বেশির ভাগটাই মিশে গেলে বুঝবেন মধুর সঙ্গে মেশানো হয়েছে নকল উপাদান।
ঢাকা টাইমস/২২ডিসেম্বর/একে