ঝুঁকি নিয়ে চার ইউনিয়নের মানুষের কালভার্ট পারাপার

প্রকাশ | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৩০

আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন উপজেলার চার ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এখানে যে কোন সময় দুর্ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

সরজমিন দেখা গেছে, তাহিরপুর-ট্যাকেরঘাট যাওয়ার রাস্তায় রতনশ্রী গ্রাম হতে দুই কিলোমিটার উত্তর দিকে যাওয়ার পর দেখা যায় কালভার্টের উপর শুধু রড। বালু, পাথর একবছর আগেই খসে গেছে। স্থানীয় দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বারবার আবেদন-নিবেদন করার পরও এ পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।

উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন, দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক জনগণ এ রাস্তা দিয়েই উপজেলা সদর, তিনটি স্থল শুল্ক স্টেশন শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী ও পর্যটন এলাকা ট্যাকেরঘাটে যাতায়াত করে থাকেন।

এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামের আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কিছুদিন আগে তিনি মোটরসাইকেল করে তাহিরপুর উপজেলা সদর হতে নিজ গ্রাম জামলাবাজে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত হন। এ কারণে তিনি সপ্তাহখানেক অসুস্থ ছিলেন।’

একই অবস্থার কথা জানালেন বড়দল গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া। বললেন, ‘রাতে বাড়ি ফিরতে তিনি কালভার্টের উপর পড়ে হাতে-পায়ে মারাত্মক ব্যথা পান।’

এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত অটোরিকশা ও কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার চলাচল করে। যে কোন সময় এসব উল্টে প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।

বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, ‘কালভার্টটি মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘তাহিরপুর-ট্যাকেরঘাট রাস্তায় ভেঙে যাওয়া কালভার্টটিসহ ছয়টি কালভার্ট নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কাজটি দ্রুত করার জন্য তিনি উপজেলা প্রকৌশলীকে তাগিদ দিয়েছেন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি বলেন, ‘বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে- জনগণ চলাচলের সুবিধার্থে কাজটি যেন তাড়াতাড়ি শেষ করা হয়।’

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এলএ)