টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৮

কুড়িগ্রামে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। টানা আট দিন ধরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও দুস্থরা।

বিকাল থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। দুপুরে কুয়াশার সাথে লুকোচুরি করে সূর্য। কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঠান্ডা হাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে গবাদিপশুও। এ পর্যন্ত জেলায় সহস্রাধিক ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামারে প্রায় দেড় শতাধিক মুরগি মারা গেছে বলে খামারিরা জানান।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় আলুর ক্ষেত আর বোরো বীজতলায় লেট ব্লাইট রোগের প্রার্দুরভাবের শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় প্রায় ১ হাজার ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কুয়াশা ও তীব্র শীত থেকে রেহাই পেতে খামারিদের মুরগি রাখার স্থানে চারদিকে পর্দা দিয়ে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনই শিশু।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ৫৯ হাজার ১৪টি কম্বল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত নয়টি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় ৫৬ হাজার ৫১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :