পর্তুগালে রেমিট্যান্সযোদ্ধা রনি দাসের আত্মহত্যা

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে রনি দাস নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তার বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার থানার বনগ্রাম ইউনিয়নে। সোমবার রাতে নিজ কর্মস্থল আলমেদা ফোরামের পাশে একটি পার্কের গাছে রনির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বের হয়ে আসে।

পর্তুগাল প্রবাসী রনির এলাকার বন্ধু প্রবাসী আল আমিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রনি জীবন নিয়ে বেশ হতাশ ছিল। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা আল আমিনসহ তার রুমমেটদের।

চলতি বছর ছুটি শেষে কয়েক মাস আগে দেশ থেকে পর্তুগালে ফিরেন রনি। তখন থেকেই বেশ হতাশায় ছিলেন তিনি। এ নিয়ে তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলে জানান আল আমিন।

রনির মৃত্যু নিয়ে দেশে তার মামা এবং পর্তুগালে তার সব চেয়ে নিকটতম এলাকার বড় ভাই লিসবনের কাসকাইস প্রবাসী আবদুর রহমানের ঢাকাটাইমসকে বলেন, রনির আত্মহত্যার মূল কারণ প্রেম। রনির সঙ্গে দেশে এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ধর্মীয় গোত্র মিল না থাকায় রনির পরিবার মেয়েকে এবং তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারই প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাস থেকে মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন থেকে সোমবার রাত নয়টার দিকে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বর্তমানে আলামেদার গার্সিয়া ডি ওরটা হাসপাতালে রনির মরদেহটি রয়েছে। মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত দেশটির প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/এলএ)