চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৮

বাংলাদেশে চারুশিল্পে যাদের অনন্য অবদান, তাদের অন্যতম সৈয়দ জাহাঙ্গীর। একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা এই চিত্রশিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রবিবার। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে তিনি মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ জাহাঙ্গীরের প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণ করে পরিবার ও অনুসারীদের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশে ও বিদেশে দোয়া এবং আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে।

চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের ছবিতে খুব সযত্নে উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের নানা অনুষঙ্গ। তার নির্মাণশৈলীতে ছিল সহজ ছন্দ, যা তার সৃষ্টিকে করে তুলেছে তাৎপর্যময়। এই চিত্রশিল্পীর ছবিতে বার বারই উঠে এসেছে মানুষের শ্রম, ভালোবাসা ও বন্ধনের দৃশ্যকাব্য। মূর্ত ও বিমূর্ত উভয় ক্ষেত্রেই সমকালীন চিত্রকলা অঙ্গনে তিনি রেখেছেন সাফল্যের স্বাক্ষর।

দেশের মাটি ও মানুষের মর্মযাতনার অনুভব সৈয়দ জাহাঙ্গীরের সৃজনধারাকে করেছে বৈশিষ্ট্যময়। তার শিল্পচিত্রের বেশিরভাগ জুড়ে ছিল বাংলাদেশের গ্রামের মুক্ত আকাশ, নীলে-নীল ভরা বিশালতা। তার বেশিরভাগ ছবিতে ক্যানভাসের জমিনজুড়ে রাজত্ব করেছে নীল ও হলুদ দুই রং। প্রকৃতি ও ঋতু পরিবর্তন ছিল তার ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নিজ সৃষ্টিকর্মেই সারা জীবন বেঁচে থাকবেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর।

১৯৩৫ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পী। প্রায় ২২ বছর পেশাদার চিত্রকর হিসেবে কাজ করার পর তিনি ১৯৭৭ সালে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পকলা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। তিনি শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

সৈয়দ জাহাঙ্গীর শিল্পকলা একাডেমীতে চারুকলা বিভাগ চালু করেন। চাকরি জীবনে এই চিত্রশিল্পীর সবচেয়ে বড় অবদান দ্বিবার্ষিক এশীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীর প্রবর্তন। তার বিখ্যাত প্রদর্শনী ও সিরিজের নাম হচ্ছে ‘আত্মার উজ্জীবন’, ‘উল্লাস’, ‘ধ্বনি’, ‘অজানা অন্বেষা’। ২০১৮ সালে মৃত্যুর পর তার প্রিয় গ্রামেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯২ সালে চারুশিল্পী সংসদের বিশেষ সম্মাননা, ২০০০ সালে মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, ২০০৫ সালে শশীভূষণ সম্মাননা, ২০১০ সালে বার্জার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা এবং ২০১১ সালে হামিদুর রহমান পুরস্কার লাভ করেন। ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :