তারুণ্য ধরে রাখার কৌশল

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:০৫ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩১

ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যাঁরা কুড়ির কোঠায় আছেন, তাঁরা ভয় পান তিরিশকে। তিরিশে পৌঁছেই আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয় চল্লিশ। আর চল্লিশে পৌঁছানোর পর তো অনেকে জীবনের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন! কিন্তু কিছু কিছু মানুষকে দেখে বয়স বাড়াটা মোটেই টের পাওয়া যায় না!

জরা বা বয়সকে ঠেকিয়ে রাখে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাত্রা। কিছু কিছু পরিবারে জেনেটিকালি সবাই ভাগ্যবান হন, তাঁদের মুখে-গলায় বয়সের ছাপ পড়ে না, চুল পাকে দেরি করে। তাঁরা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান। কিন্তু তা যদি না-ও হয়, তা হলেও কিছু নিয়ম অল্প বয়স থেকেই মেনে চলা উচিত। যেমন ধরুন, শরীরের বিশ্রামের ব্যাপারে কোনো সমঝোতা করা যাবে না।

রোজ রাতে অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমাতে, সেই সঙ্গে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব? বিশেষ করে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে? কিন্তু যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তা হলেই স্ট্রেস আপনার তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, মন দিব্যি ফুরফুরে থাকবে।

নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করুন। যদি শরীরে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট জমতে দেন, তা হলে নিশ্চিত আপনারই ক্ষতি হবে। খুব ভালো মানের দুধ বা দুধজাত প্রডাক্ট, ফল, শাকসবজি বা তরিতরকারি খাওয়া উচিত। বয়স বাড়বেই তবে খাবার খেতে হবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে। আর পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে।

হজমের কোনো সমস্যা হলে বা গ্যাস, বুকজ্বালা ইত্যাদি ভোগালে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেগুলো সারান। পেট ঠিক না থাকলে কিন্তু সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই!

দূরে থাকুন রাসায়নিক সমৃদ্ধ রূপচর্চার সামগ্রী থেকে। চুলে কালার যত কম ব্যবহার করবেন তত ভালো থাকবে চুল। ব্যবহার করুন নারিকেল, আমন্ড তেল বা গ্লিসারিনের মতো সামগ্রীর উপর। বিশেষ করে সুগন্ধি ও প্যারাবেনযুক্ত ক্রিম বা শ্যাম্পু কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমান। প্লাস্টিকের টিফিনবাক্স, পানির বোতল, ক্লিং ফিল্ম কোনোটাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খাবার-দাবার তো কখনওই প্লাস্টিকে ভরে রাখবেন না।

সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক সচল রাখার উপরে জোর দিন। ওয়ার্ড গেম খেলুন, সমাধান করুন পাজল। জিমে যেতে পারেন। সাঁতার শিখুন। কখনওই ভাববেন না যে জীবন একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে গিয়েছে, তা হলেই বয়সের ছাপ আপনাকে স্পর্শও করতে পারবে না!

(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/আরজেড)