পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:১৯ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৩৯

শিক্ষা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শিক্ষাজীবনে পরীক্ষা থাকবে। এর থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। আর তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল সবারই কাম্য। তবে শুধু পড়ালেখা করে পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সবারই থাকে। এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই পরীক্ষায় ভালো করা যায়। পরীক্ষা নিয়ে যার কোনো ভাবনাই নেই তার প্রস্তুতিতেও যথেষ্ট ঘাটতি। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হয়।

সুবিন্যস্ত করে পড়া শুরু করা

পড়া শুরু করতে হবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে। শুরুতেই মন থেকে পরীক্ষাভীতি ঝেড়ে ফেলতে হবে। পড়াগুলোকে নিজের মতো করে সাজাতে হবে। পরীক্ষার ‍রুটিন অনুযায়ী কোনোদিন কি পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। এতে পড়তে সুবিধা হয়, পড়া মনে থাকেও বেশি।


লিখতে হবে

আমরা যা পড়ি তা কখনোই পুরোপুরি মনে থাকে না। পরীক্ষার খাতায় হুবহু নির্ভুল লেখা তাই অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম ‍শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা। পরীক্ষায় নির্ভুল লেখার জন্য পড়ার পর না দেখে লেখার অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কোন কিছু পড়ার পর তা না দেখে লিখলে ভুলগুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যায়।


ভুল থেকে শেখা

ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে। তাই ‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছি না?’ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো সমাধান করলেই পরীক্ষায় ভালো করার হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে।


বন্ধুরা মিলে পড়াশোনা করা

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এতে করে পড়াগুলো আয়ত্ত করা যেমন সহজ হয়, তেমনি আলোচনার মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করা যায়। গ্রুপ স্টাডি করার ফলে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে।


নিয়মিত ক্লাস করা

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনতে হবে। কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে। তাই নিয়মিত ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হয়।


নোট তৈরি করা

নোট করে পড়া ভালো ফলাফলের জন্য বেশ কার্যকর। ভালো নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাছাড়া নোট করলে পরীক্ষার আগেই একবার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয়।


মনে রাখার টেকনিক

কিছু কিছু বিষয় থাকে যা মুখস্থ করতেই হয়। সেক্ষেত্রে মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ছড়া দিয়ে অথবা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে পড়া মনে রাখা যায়। যেমন পর্যায় ‍সারণীর 4A গ্রুপের মৌলগুলো হলো: C, Si, Ge, Sn, Pb। এগুলোকে এভাবে মনে রাখা যায়: “কাঁদলে (C) সাইকেল (Si) গেন্জি (Ge) স্যান্ডেল (Sn) পাবে (Pb)”। এক্ষেত্রে ছবি এবং ছকও অনেক কার্যকরী।


পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা

কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা এবং গোছানো উপস্থাপন শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা অধিক নম্বর পেতে সহায়ক। প্রস্তুতি অনেক ভালো হবার পরও যদি তা খাতায় ঠিকমত উপস্থাপন করা না হয় তবে সেই প্রস্তুতির কোনো মূল্য নেই। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও এজন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।


ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/এসএস