ভালুকায় মধ্য রাতে শীতবস্ত্র বিতরণ
রাস্তার পাশে, মার্কেটের বারান্দায়, স্টেশন চত্বরে ছিন্নমূলদের ঘুরাফেরা, শুয়ে থাকার দৃশ্য আমাদের সবারই পরিচিত। কিন্তু তীব্র শীতে অসহায় এই মানুষদের অবস্থা চোখে সয় না যেন! একইরকম দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় ময়মনসিংহের ভালুকায়।
ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লোক সমাগম থাকলেও শীতের প্রকোপে নিস্তব্ধতা। হিম শীতল ঠান্ডায় সবার অবস্থা জুবুথুবু। রাস্তার পাশে মার্কেটের বারান্দায় কিছু ছিন্নমূল, অসহায় শীতার্ত মানুষ সামান্য শীতের কাপড় মুড়িয়ে কোনোমতে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। আর এ দৃশ্যটি নাড়া দিয়েছে ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মনকে। রাত তখন পৌনে ১২টা। এমন সময় কনকনে শীত উপেক্ষা করে গাড়িতে করে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে এসে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাস্তার মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তার পাশে, মার্কেটের বারান্দায় ছিন্নমূল ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে হাজির হলেন শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে। বিতরণকালে মার্কেটের বারান্দায় শুয়ে থাকা এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীর গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি।
শরিফা আক্তার নামে ওই মানসিক রোগী বলেন, ‘শীতের লাই¹া ঘুমাইতে পারি না, আজকা মন কয় ইট্টু ঘুমাইতারাম’।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রবিবার রাতে মল্লিকবাড়ি থেকে বাসায় ফেরার সময় পাঁচ রাস্তার মোড়ে মার্কেটের বারান্দায় একজন মানুষ সামান্য শীতের কাপড় মুড়িয়ে শুয়ে থাকতে দেখে মনে হলো এরাই প্রকৃত শীতার্ত, এদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। তাই শুভাকাক্সক্ষীদের সাথে নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করলাম। আমি উপলব্ধি করলাম এরা কারো কাছে যেতে পারে না, কারো কাছে কিছু চাইতে পারে না, তাই আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সকল বিত্তবানদের আহ্বান জানাব এদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এছাড়া আমি আমার উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুরোধ করব তারা যেন সরকারের দানকৃত, অসহায় দরিদ্রদের প্রাপ্য জিনিস, প্রকৃত মানুষের হাতেই পৌঁছায়।
(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/পিএল/এলএ)