চারদিনের টেস্ট আয়োজন করবে আইসিসি

প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

টেস্ট ক্রিকেটে বড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে আইসিসি। ২০২৩ সাল থেকে চার দিনের টেস্ট বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত যে সব টেস্ট থাকবে, তাতেই এই বদলগুলো আনতে চাইছে আইসিসি। জানা গিয়েছে, ২০২৩-২০৩১ সময়ের মধ্যে এই চার দিনের টেস্ট হবে।

চার দিনের টেস্ট অবশ্য নতুন কিছু নয়। এই বছরেই ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ডের মধ্যে চার দিনের টেস্ট হয়েছিল। তার আগে ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ের মধ্যেও চার দিনের টেস্ট খেলা হয়েছিল। কিন্তু সব ক’টি টেস্ট খেলিয়ে দেশ পরস্পরের মধ্যে চার দিনের টেস্ট খেলছে, এ রকম ঘটনা ঘটলে সেটা অভূতপূর্বই হবে। 

তবে আইসিসির এই পরিকল্পনাকে সবাই যে মেনে নেবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়াতেই যেমন দুটো মতবাদ পাওয়া যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অফিসার কেভিন রবার্টস মনে করেন, চার দিনের টেস্ট ম্যাচের ব্যাপারটা ভেবে দেখাই যেতে পারে।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এই ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। এই সপ্তাহে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তবে শুধুমাত্র আবেগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। পরিসংখ্যান এবং তথ্য ঘেঁটে দেখতে হবে। যেমন আমাদের দেখতে হবে, গত পাঁচ-দশ বছরে টেস্ট ম্যাচ গড়ে কত দিন আর কত ওভার চলেছে। তবে একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমরা আইসিসির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে তৈরি।’

মেলবোর্নে নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন আবার বলেছেন, ‘অ্যাশেজে যদি চার দিনের টেস্ট হত, তা হলে আমরা কোনও ফল পেতাম না। এ বারের অ্যাশেজের সব ক’টি টেস্টই তো পাঁচ দিনে গড়িয়েছে।’

পেন আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে বাকি ফর্ম্যাটের তো এখানেই পার্থক্য। পাঁচ দিন ধরে এক জন ক্রিকেটারকে লড়াই করে যেতে হয়। মানসিক, শারীরিক ভাবে ব্যাপারটা খুব সোজা নয়। তাই চার দিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচগুলোর চেয়ে পাঁচ দিনের টেস্ট এক জন ক্রিকেটারের অনেক বেশি পরীক্ষা নেয়। আশা করব, টেস্ট ম্যাচের দিন কমানো হবে না।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও রবার্টস পরিষ্কার করে দেন, আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে ভবিষ্যতের ক্রীড়াসূচি হয়তো ঠিক করে নেওয়া হবে। রবার্টস বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হল, ২০২৩ থেকে ২০৩১ অবধি এই সময়ের ক্রীড়াসূচি তৈরি করে ফেলা। ব্যাপারটা সোজা না হলেও কাজটা আমাদের করতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩১ ডিসেম্বর/এআইএ)