স্বাগত ২০২০: প্রাণসঞ্চারী হোক নতুন সূর্যোদয়

অনলাইন ডেস্ক
| আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:২৩ | প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:৫৫

আরও একটি গ্রেগরিয়ান বছরের বিদায়। এসেছে নতুন বছর। নতুন সূর্যোদয়ের রাগে পুরনো বছরের হতাশা, ক্লেদ, গ্লানি ভুলে এগিয়ে যাওয়ার আবাহন। নতুন সূর্যোদয়ে নতুনভাবে বাঁচার আশা। স্বাগত ২০২০।

নতুন বছর ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকে। থাকে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার ভাবনা। সেসব নিয়ে সাফল্যের পথচলা হবে নিশ্চয়ই। এর সঙ্গে পুরনো বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো ভুলে গেলে চলবে না। সেসবের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে থাকতে হবে সজাগ খেয়াল।

২০১৯ সাল নানা কারণে ছিল আলোচিত। সবশেষ রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর যে অনাকাক্সিক্ষত বিষয় সামনে এসেছিল, তা নজির হয়ে থাকল। আমরা যেন এ থেকে শিক্ষা নিই। আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিই কাজেকর্মে।

রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কেটেছে বছরটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মূল দলের বাইরে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব গুছিয়ে নিয়েছে। বিপরীতে বিএনপির সময় কেটেছে আদালতের বারান্দায়। দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে। তার জামিনের আবেদন হয়েছে অনেকবার। মঞ্জুর হয়নি।

শিক্ষাখাতেও বছরটি বেশ আলোচিত। নানা ঘটনা আর অপকর্মের অভিযোগে আন্দোলনে সরব ছিল বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম যে ব্যাহত হয়েছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। নতুন বছর শান্তিপূর্ণ থাকুক শিক্ষাঙ্গন।

জনজীবনে হঠাৎ নাভিশ্বাস তুলেছে পেঁয়াজের দাম। যে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কেনা গেছে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে, চতুর্থ ভাগে গিয়ে সেই পেঁয়াজের দর আড়াই শ টাকা ছাড়ায়। এখনো তার রেশ কাটেনি। দেশি পেঁয়াজ ৯০-এর ঘরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণের অর্থনীতিকে কুপোকাত করে ছেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। নতুন বছরে এই হতাশার চিত্র অপসৃত হবে বলে আমরা বিশ^াস করি।

যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে, নতুন বছরের শুরুতে সেসব কাজে গতি ফিরুক। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি কারোই কাম্য নয়। একটি নতুন বছর নতুন সম্ভাবনার পথ দেখায়। ২০২০ সালটি হোক সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নতুন বছরকে সরকার মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে এই বছর। এ জন্য বিস্তর প্রস্তুতি-আয়োজন আছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে। এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হোক, কামনা করি।

বঙ্গবন্ধুকে আরও ব্যাপকভাবে দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, তার চেতনাকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন ছিল। আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও দৃঢ় করতে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সম্পর্কে আরও জানতে হবে, জানাতে হবে। তাকে নিয়ে চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

বর্তমান সরকারের ক্ষমতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অতীতের যেকোনো সময়ের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। দিন ফিরছে মানুষের। দক্ষিণের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান। এটি আমাদের বড় অর্জনের একটি বড় নজির। নিজেদের টাকায় এত বড় প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, এই বার্তা পৌঁছে গেছে বিশ্বময়।

ধ্বংস থেকে সৃষ্টির নেশায় ছুটে চলা মানুষের মনে সাহস জোগায় ভোরের সূর্য। ২০২০ সাল আমাদের হৃদয়ে সেই প্রাণের সঞ্চারী হোক, এটাই প্রত্যাশা।

সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

লেখক: সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকাটাইমস২৪.কম ও সাপ্তাহিক এই সময়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা