মেয়র হলে উন্নত রাজধানী উপহার দিতে চান তাপস

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাবাসীর উন্নয়ন ও উন্নত রাজধানী উপহার দিতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নুর তাপস। তিনি বলেছেন,‘মেয়র নির্বাচিত হলে দায়িত্ব গ্রহণের নব্বই দিনের মধ্যে নাগরিকদের জন্য মৌলিক সেবা নিশ্চিত করব।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন,  ‘আমাদের তরুণ সমাজ পর্যাপ্ত খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। আমি লক্ষ্য করেছি ঢাকা দক্ষিণের সবগুলো ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুবিধা নেই। এটা আমাদেরকে করতে হবে। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। আমারা ত্রিশ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা করবো। সেখানে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে খেলাধুলার মাঠ এবং পরিবেশ থাকে সে জিনিসটা লক্ষ্য করে করব।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের পরিকল্পনা এবং জনসেবা নিশ্চিতের বিষয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি ইনশাল্লাহ, দায়িত্বগ্রণের নব্বই দিনের মধ্যে, প্রথম নব্বই দিন হবে মৌলিক সুবিধাগুলো, সেবাগুলো নিশ্চিত করা। তার সঙ্গে সঙ্গে মহাপরিকল্পনার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।’   

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী দুইজনই নতুন মুখ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদিও এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি নতুন। কিন্তু ঢাকা-১০ আসনে আমি দীর্ঘদিন এমপি হিসেবে কাজ করেছি। সেখানে অনেক প্রতিকূলতার মাঝে উন্নয়নের কাজ করেছি।’

এ সময় ঢাকাবাসীর উন্নয়ন ও উন্নত রাজধানী উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করবেন বলে জানান তাপস।

গত ২৯ ডিসেম্বর ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটিতেই ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ওইদিন সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি।

ডিএসসিসি-তে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ঢাকাটাইমস/ জানুয়ারি/এআইএম/এমআর