পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, কুপিয়ে স্বর্ণালঙ্কার-টাকা লুট

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৩৭

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কাজী পান্নু নামে এক ব্যবসায়ী। ডাকাতরা নগদ লাখ টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে, তবে এখনো মামলা হয়নি। 

ভুক্তভোগী কাজী চুন্নু জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পাটুরিয়া তিন নম্বর ঘাট থেকে মুদি দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পাটুরিয়া ঘাটের অদুরে ধুতরা বাড়ির তিন রাস্তা মৌড় এলাকায় চারজন লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত। কাজী চুন্নুর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি এসআই। এ সময় কাজী চুন্নুর কাছে মাদকদ্রব্য আছে বলে তাকে আটক করা হয়। পড়ে কাজী চুন্নুর শরীর তল্লাশি করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে বাড়িতে অবৈধ জিনিস আছে বলে তাকে নিয়ে বাড়িতে তারা। পরে বাড়িতে গিয়ে কাজী চুন্নু এবং বড় ভাই কাজী পান্নুর ঘর তল্লাশি করে দুজনের ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণ একত্র করতে থাকে। এক পর্যায়ে কাজী চুন্নুর একটি ব্যাগে গাঁজা রেখে বলা হয় মাদক পাওয়া গেছে। কাজী পান্নু এর প্রতিবাদ করে চিৎকার করে আশপাশের লোকজন ডাকতে থাকেন। কিন্তু আশপাশের লোকজন আশার আগেই ডাকাতের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাজী পান্নুর মাথায় আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রাতেই আহত অবস্থায় কাজী পান্নুকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, ডাকাতরা আমার ঘর থেকে ৪০ হাজার নগদ টাকা ও চার ভরি স্বর্র্ণ এবং কাজী পান্নুর ঘর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা চার ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে।

শিবালয় উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হাজেরা খাতুন বলেন, আহত কাজী পান্নুর মাথায় ছয়টি সেলাই পড়েছে। তবে তিনি এই মুহূর্তে শঙ্কামুক্ত।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এখনো মামলা করেনি। মামলা করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১জানুয়ারি/এলএ/ইএস)