সেতুর অংশবিশেষ খুলে দেয়ায় লোকসানে ফেরি ইজারাদাররা

আতাউর রহমান সানী, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:০৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ‘বীর প্রতীক গাজী সেতু’টি উদ্বোধনের আগেই আংশিক খুলে দেয়া হয়েছে। অংশবিশেষ অংশ খুলে দেয়ায় সেতু দিয়েই প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে মুড়াপাড়া ফেরিঘাটের ইজারাদারদের। বিআইডব্লিউটিআইয়ের কাছ প্রায় ৬০ লাখ টাকায় ঘাটটির ইজারা নেয় সুমন এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু সেতুটি আংশিক খুলে দেয়ায় বেশির ভাগ যানবাহনই এখন বীর প্রতীক গাজী সেতু দিয়ে চলাচল করছে। তাই অল্পসংখ্যক যানবাহন নিয়েই ফেরি পারাপার করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ছেন ইজারাদার। এতে ফেরি ইজারদারদের প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিইডি) মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের জুলাইয়ে। নির্মাণ কাজটি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুর অংশবিশেষ জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে সিলেট এবং চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য কয়েকটি জেলার যানবাহন ও যাত্রীরা মুড়াপাড়া ও রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে চলাচল করা ফেরি ব্যবহার করেন। ফলে এই পথে যানজটের কবলে পড়তে হতো। এতে করে ভোগান্তির যেন শেষ ছিল না। এছাড়া সেতুটি নির্মাণের ফলে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার দূরত্ব ঢাকার সঙ্গে ১০ কিলোমিটার কমবে। একইসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পূর্বাচল উপশহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

ফেরির ইজাদার সমর আলী জানান, ফেরিঘাটটি শীতলক্ষ্যা নদীর মুড়াপাড়া-রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিস এলাকায়। বর্তমান পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের একান্ত চেষ্টায় ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দড়িকান্দি-ইছাখালী এলাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে, সেতুটি উদ্বোধন করা হলে হয়তো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। সেতুটি নির্মাণের পর রঙ করা হয়েছে। পশ্চিমপাড়ের ইছাখালী অংশে একটু কাজ বাকি রয়েছে। সেতুর উভয় পাড়ের আংশিক খুলে দেয়া হয়। এতে করে বেশির ভাগ ছোট বড় যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। ফেরি দিয়ে কম যান চলাচল করছে। এতে করে ঠিকাদারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এখন হয়তো সেতুটি পুরোপুরি খোলে দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হোক। তাহলেও লোকসানের হাত থেকে তারা রক্ষা পেতে পারে।

উপজেলা প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন বলেন, সেতুর আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। শেষ হতে হয়তো এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। সেতুর আংশিক খুলে দেয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেছে।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :