পুলিশের ১১৮ জনকে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২২

সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ১১৮ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুলিশ সপ্তাহের শুরুর দিন রবিবার সকালে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদেরকে পদক ও ব্যাজ পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা ঠিক ব্যয় হিসাবে নিই না। আমরা মনে করি, জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে এটা আমাদের এক ধরনের বিনিয়োগ। আমরা দেখতে পাচ্ছি পুলিশের মাঝে গুণগত একটি পরিবর্তন এসেছে। তারা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ১০ বছরের উন্নয়নের অভিযাত্রায় পুলিশ বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপেই অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্ব আমরা দেখেছি।’

এর আগে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।

এবার বিপিএম সাহসিকতা পদক পেয়েছেন ১৪ জন। সেবায় অবদানের জন্য বিপিএম পদক পেয়েছেন ২৮ জন। সাহসিকতার স্বারক হিসেবে পিপিএম পদক পেয়েছেন ২০ জন। পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন ৫৬ জন।

পুলিশের চাকরিতে পুলিশ পদক খুবই সম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হয়। পদক পাওয়া কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা ও নামের শেষে উপাধি হিসেবে এই পদক ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান বিপিএম (সাহসিকতা) পদকধারীরা এককালীন এক লাখ টাকা ও প্রতি মাসের বেতনের সঙ্গে দেড় হাজার টাকা বাড়তি পেয়ে থাকেন। পিপিএম পদকধারীরা এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে এক হাজার টাকা পান। বিপিএম (সেবা) পদকধারীরা এককালীন ৭৫ হাজার টাকা পান। পিপিএম (সেবা) পদধারীরা এককালীন পান ৫০ হাজার টাকা।

বিপিএম সাহসিকতা পদকপ্রাপ্তরা হলেন- র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী, ডিবি উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ, এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়া কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, একই ইউনিটের এডিসি এস এম নাজমুল হক, একই ইউনিটের এডিসি ও বোমা নিস্ক্রিয়তে নিয়োজিত দলের প্রধান মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী, সিসিটিসির এডিসি আহসান হাবীব, এডিসি তৌহিদুল ইসলাম, সিসিটিসির পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, র‌্যাব সদর দপ্তরের সার্জেন্ট মো. শহীদুল ইসলাম, বগুড়ার শেরপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নান্নু মিয়া ও র‌্যাব-১-এর সৈনিক মো. রাকিব হোসেন। এছাড়া মরণোত্তর বিপিএম পদক পেয়েছেন কুমিল্লার মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আক্তার হোসেন।

সাহসিকতার জন্য পিপিএম পদকপ্রাপ্ত ২০ জন হলেন- বগুড়ায় পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া আরিফুর রহমান মন্ডল, র‌্যাব সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক মেজর এস এম সুদীপ্ত শাহীন, র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের মেজর শাহীন আজাদ, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর মেজর খান সজিবুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, সিসিটিসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রামের বোমা নিস্ক্রিয় করার কাজে নিয়োজিত দলের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া, রাউজান থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ কেপায়েত উল্লাহ, পুলিশ সদর দপ্তরের এসআই সোহাগ মিয়া, শ্যামপুর থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী, মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার এসআই আল মামুন, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার এসআই হারুন-অর রশিদ, বগুড়া ডিবির এসআই জুলহাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার এসআই রাজীব আহমেদ, শ্যামপুর থানার এএসআই মাসুম বিল্লাহ, সিটিটিসির এএসআই সোলাইমান হোসেন, আরএমপির এএসআই মাইনুল ইসলাম ও সিটিটিসির নায়েক মোহাম্মদ রাসেল মিয়া।

বিপিএম সেবা পদক পাওয়া ২৮ জন হলেনÑ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, র‌্যাব সদর দপ্তরের এয়ার উইংয়ের লে. কর্নেল মীর আসাদুল আলম, র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মাহবুব আলম, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি জামিল হাসান, এসবির পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি এ এফ এম আনজুমান কালাম, এআইজি তামান্না ইয়াসমীন, এআইজি নাসিরুল ইসলাম, এআইজি মিলন মাহমুদ, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিবির ডিসি রাজীব আল মাসুদ, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মিশুক চাকমা, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা লিজা, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল হুদা আশরাফী, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম মিয়া, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার অহিদুজ্জামান নূর, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, এসবির পুলিশ পরিদর্শক ইউনুস আলী শেখ, ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, সিটিটিসির এসআই আশুতোষ শীল, এসবির এএসআই মোহাম্মদ মোহন মিয়া ও সিটিটিসির কনস্টেবল সালমান হাজারী।

পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন ৫৬ জন। তারা হলেন- র‌্যাব-৬ এর লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ, র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহীনা আমিন, ডিএমপির পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী, গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, ডেমরা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিবির কর্মকর্তা মনজুর রহমান, র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের মেজর মনিরুল ইসলাম, মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়জুর রহমান, পিবিআই ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, গোপালগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ফাহিম, হবিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈদ আহম্মেদ, খায়রুল হাসান, ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, এএসএফ-এ কর্মরত এএসপি মিরাজুল ইসলাম, সিআইডির জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাটের পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউর রহমান, এসবির পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আহম্মেদ, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, ডিএমপি সদর দপ্তরের আরওআই কাইয়ুম শেখ, গেন্ডারিয়া থানার ওসি সাজু মিঞা, চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম আবদুর রহমান মুকুল, বরিশাল নৌ পুলিশের পরিদর্শক বেলাল হোসেন, এসবির এসআই মনিরুজ্জামান, সিএমপির ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুরের তাজহাট থানার এসআই মামুনুর রশিদ, ডিবির এসআই বিলায়েত হোসেন, সিরাজগঞ্জ ডিবির এসআই ইয়াছিন আরাফাত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের ইনচার্জ ইসমাতারা, বগুড়া ডিবির এসআই ওয়াদুদ আলী, বগুড়া ডিবির এসআই ফিরোজ সরকার, ময়মনসিংহ ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন, ঝিনাইদহের এএসআই শরিফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসআই আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এএসআই বিকাশ চন্দ্র সরকার, বগুড়া ডিবির এএসআই রানা হামিদ, ঢাকার নৌ পুলিশের কনস্টেবল জীবন সিকদার, খাগড়াছড়ি মহালছড়ির কনস্টেবল ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৫জানুয়ারি/এএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :