ব্যবসায়ী হত্যা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারজনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৪০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকার চকবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নার বাহারকে (৪৫) পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।  সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ সফিউল আজম এ রায় দেন। এর মধ্যে তিনজন আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নুরু মিয়া, জিয়াউল হক, লোকমান খান ও কাদির হোসেন। এদের মধ্যে জিয়াউল হক রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আব্দুল হান্নান বাহার ঢাকার চকবাজারে কসমেটিক ও ইমিটেশনের ব্যবসা করতেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা বাহারের দোকান থেকে মালামাল কিনে নিয়ে যেতেন। প্রতিবছর ঈদ শেষে পাইকারদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করে ঢাকায় ফেরত যেতেন তিনি। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর তিনটার দিকে বাহার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা এলাকায় পাইকার লোকমান খানের কাছে বকেয়া আদায় করতে যান। বাহারকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে বাঙ্গরা বাজারে ডেকে নেন লোকমান।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, বাহার বাঙ্গরা বাজারে যাওয়ার পর লোকমান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়ানোর নাম করে বাহারকে ইঞ্জিন নৌকায় তুলে নিয়ে যান। নৌকায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাহারের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করে। আসামিরা ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাহারের হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করে। কিছু টাকা আদায়ের পর আরও টাকার জন্য বাহারকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা। ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর লঞ্চ ঘাটের বিপরীত দিকে তিতাস নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে নদী থেকে বাহারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাহার হত্যার ঘটনায় ৯ আগস্ট বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন তার ছোট ভাই বেলাল হোসেন। এ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম ইউসুফ।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/কেএম/এলএ)