পাঁচ ভুয়া চিকিৎসক আটক

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:০৪

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর বন্দরে পাঁচ ভুয়া চিকিৎসক আটক করেছে র‌্যাব। চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাবের অভিযানকালে নির্বাহী হাকিম ইয়াসিন খন্দকার ও ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এএইচএম ফাহাদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালত ছিল।

অভিযানে শামীম আকন, জনতা ডেন্টাল কেয়ারের ফাইজুল হক রানা, মডার্ন ডেন্টাল কেয়ারের বাবুল হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশ, জসিম উদ্দিন শাহীন ও ক্লিনিক ভবন মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে আটক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী হাকিম জানান, আটকরা তাদের ব্যবসা পরিচালনার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই আটক শামীম আকনকে দুই বছর, ফাইজুল হক রানা ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশকে ছয় মাস করে, জসিম উদ্দিন শাহীনকে চার মাস ও বাবুল হোসেনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও আটক শামীম আকনকে বাসা ভাড়া দিয়ে ওই কাজে সহযোগিতা করার দায়ে ভবন মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পাঁচ ভুয়া চিকিৎসকের পাঁচটি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া হয়। এ সময় ক্লিনিকে থাকা পাঁচজন রোগীকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

শামীম আকন বহুদিন ধরে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোর মতো চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে সে গাছগাছালি ছাড়াও গরুর মূত্র চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইট দিয়ে ভাঙা হাত বা পায়ে টানা দেয়। তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তবুও এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসা করে। অন্য সব ভুয়া চিকিৎসক অবৈধভাবে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/কেএম/এলএ)