মোটা হওয়া থেকে বাঁচাবে যেসব ফল

ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৫ | প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৮

ওজন হ্রাস করা সহজ নয়। আমাদের দেহ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি মোটা হওয়ার খাবার পায়, তাই আমরা প্রচুর পরিমাণে চর্বি ধারণ করি। এই অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। না খেয়ে থাকলে তো চলবে না। দেখা গেল চর্বি কমাতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে গেল।

ক্যালরি ঠিক রেখে স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার ওজন বাড়ানো বা কমাতে পারেন। ওজন কমাতে কয়েকটি জিনিস আপনি করতে পারেন। ওজন হ্রাস ডায়েটের জন্য একাধিক গবেষণায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসায়ানিন (একটি ফ্ল্যাভোনয়েড) রয়েছে এমন ফলগুলো খেতে পারেন। যা একাধিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে। সাধারণত অ্যান্থোসায়ানিনযুক্ত ফল খুব কার্যকর। লাল বা বেগুনি রঙের ফল। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন এমন কিছু রঙিন ফল।

টার্ট চেরিফল

ওজন হ্রাস করার জন্য টার্ট চেরিফল খুব কাজে দেয়। এগুলো খেতেও খুব লোভনীয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ইঁদুর নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল। যেখানে দেখা গেছে, ১২ সপ্তাহের মধ্যে ইঁদুরকে খাওয়ানো টার্ট চেরির পেটের চর্বিতে ৯ শতাংশ বেশি হ্রাস করেছে। টার্ট চেরিফল হার্টের স্বাস্থ্য এবং প্রদাহ হ্রাসে খুব কাজ করে।

সমস্ত প্রকারের বেরি ফল

বেরি জাতীয় ফলগুলো খুবই উপকারী। এতে স্বাস্থ্যকর পলিফেনলপূর্ণ, যা কেবল ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে না, ফ্যাট তৈরি হতে বাধা দেয়। টেক্সাস উইমেনস ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষা আবিষ্কার করেছে যে, যেসব ইঁদুরকে ৩ বার বেরি বা বেরি গুঁড়া খেতে দেওয়া হয়েছে তাদের ফ্যাট গঠনের কোষগুলো বাড়ার ক্ষেত্রে ৭৩ শতাংশ হ্রাস করেছে। বেরিগুলো ওটমিল, দই বা সালাদ এমনকি শুকনা বা গুঁড়া করে ইঁদুরকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। এতে তাদের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরা বলছেন, এই বেরি ফল ফ্যাট কমাতে বড় ভূমিকা পালন করে।

তরমুজ

তরমুজ খুব পরিচিত ফল। এটি খুবই স্বাস্থ্যকর। কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, তরমুজ খেলে ফ্যাট জমে যাওয়া কমে যায় এবং লিপিড প্রোফাইলগুলো খুব উন্নত করে। তরমুজের রস পোস্ট-ওয়ার্কআউট পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের এ ফলটি তাই আপনার ফ্যাট কমাতে খাবারের তালিকায় সঙ্গী করে নিন।

জাম্বুরা

প্রতিদিন সকালে জাম্বুরা/আঙ্গুর খেলে পেটের মেদ কমতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে দুর্দান্ত কাজ করে। ছয় সপ্তাহের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতি বেলা খাবারে আঙ্গুর খেয়েছিলেন তাদের কোমরটি গড়ে এক ইঞ্চি চিকন হয়েছে। গবেষকরা মনে করেন যে, এই সাইট্রাস ফলের সাথে পাওয়া ফাইটোকেমিক্যালস এবং ভিটামিন ‘সি’র শক্তি উৎস সংমিশ্রণের কারণ রয়েছে। জাম্বুরা যেমন খেতেও মজাদার তেমনি ফ্যাট কমাতেও কার্যকর। জাম্বুরার সালাদ দুর্দান্ত টার্ট জিং দেয়। সুতরাং মেদ কমাতে জাম্বুরা রাখতেই হবে খাবার তালিকায়।

গোলাপী লেডি আপেল

সাধারণভাবে আপেলের জলীয় দ্রবণের ফাইবারের ফ্যাট কমাতে দুর্দান্ত উৎস। আপেল খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগা থেকে যেমন দূরে রাখে তেমনি আপনাকে রাখবে সতেজ চনমনে। ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপটিস্ট মেডিকেল সেন্টার জানিয়েছে, প্রতিবার ডায়েটে আপেল খেলে দেহে ১০ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার তৈরি করে। যা পাঁচ বছরের সময়কালে পেটের চর্বি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গোলাপী লেডি আপেলে সর্বাধিক ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ওজন হ্রাসের জন্য প্রচুর কাজ দেয়।

নেকটারাইনস, পীচ এবং প্লামস

এই ফলগুলো এই পরিবারের। যাকে পাথর ফল নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বিপাক সিনড্রোম প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য খুবই পরিচিত। স্থূলত্ব এবং স্থূলতার রোগগুলো এবং ডায়াবেটিস রোধে প্রধান কার্যকরী। এটি বিপাকীয় সমস্যায় কাজ করে। এছাড়া পেটের চর্বি কমানোর জন্য বড় বন্ধুর মতো কাজ করে। এই পাথরে ফলে ফেনোলিক যৌগগুলো বেশি থাকে যা ফ্যাট জিনের আচরণের নির্দেশে ভূমিকা রাখে। এসব ফলে চিনির পরিমাণ কম। তাই ডাইটারদের জন্য আদর্শ ফল বলা চলে।

নাশপাতি

নাশপাতি মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এর প্রধান উপাদান মূলত জলীয় এবং ফাইবার। এই দুটি জিনিস ওজন হ্রাসে খুবই সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম নাশপাতিতে ৫৬ গ্রাম ক্যালরি থাকে। যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহে কাজ করে। এর ফাইবার স্বাস্থ্যকর। হজমেও খুব সহায়তা করে। নাশপাতিতে থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ মৌলিক ক্ষতির সাথে লড়াই করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। নাশপাতি বয়স ধরে রাখতে খুব কাজ করে। সুতরাং খাবার তালিকায় এখনি নাশপাতি রাখুন।

যখন ডায়েট করা হয় তখন দেহে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এসময় ফলই আপনার একমাত্র বন্ধু হিসেবে শক্তি যোগাবে। সুতরাং ফল খান। ফলের রস বা জুস না করে খেয়ে চিবিয়ে ফল খান। এতে প্রকৃত ফাইবার পাওয়া যাবে যা রক্ত ​​প্রবাহে চিনির নিঃসরণকে সংশোধন করতে সহায়তা করবে। গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।

ঢাকাটাইমস/৭জানুয়ারি/এসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :