চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে রোটা ভাইরাস ও ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। রোগী বেশি হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। হিমশিম খাচ্ছেন শিশু ওয়ার্ডের ডাক্তার ও নার্সরা। গত কয়েকদিন থেকে প্রায় চার শতাধিক বেশি শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন ৪০-৫০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালটিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রোজিনা বেগম বলছেন, হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা ভাল, কিন্তু বমি থামলেও থামেনি ডায়রিয়া।

রহিমা বেগম বলছেন, গত চারদিন ধরে ডায়রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছি। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, ভাইরাসের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। ওষুধ দিলেও কোনভাবে ভাল হচ্ছে না।

আনোয়ার হোসেন বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে আমার মেয়ে। কিন্তু হাতপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিলেও বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

সানজিদা বেগম বলছেন, গত রাত দুইটার পর থেকে আমার ছেলের পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখান থেকে কিছু ওষুধ দিয়েছে আবার বাইরে থেকেও কিনতে বলেছেন ডাক্তাররা।

সারমিন খাতুন বলছেন, বেড না পেয়ে গত চারদিন ধরে আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার কথা থাকলেও বেড না পেয়ে ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে আমার ছেলে ও আমার মত অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডগুলোতে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা করা দরকার। তা নাহলে সুস্থ হতে এসে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা।

জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) মাহফুজ রায়হান বলছেন, গত এক সপ্তাহে শিশুদের ডায়রিয়ার হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। প্রতিদিন জরুরি বিভাগের মাধ্যমে ৫০ জনের বেশি শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে। অথচ শিশু ডাক্তার একমাত্র আমিই তাই চিকিৎসা সেবা দিতে আমাকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শিশু ওয়ার্ডের নার্সরা এবিষয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, শীতকালে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এ থেকে বাঁচতে হলে সাবধান থাকতে হবে, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, স্যালাইন পানি ও স্বাভাবিক খাবার খেলে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাবে রোগী। এছাড়াও সবাইকে সর্তক থাকতে ও গরম পোশাক পরার পরার্মশ দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/পিএল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :