অবশেষে মেধাবী লিতুন জিরার সরকারি স্কুলে ভর্তি
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়া যশোরের মণিরামপুরের মেধাবী শিশু লিতুন জিরার প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে তিরস্কার করা সেই প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে লিতুন জিরার শেখপাড়া খানপুরের বাড়িতে গিয়ে তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।
এরপর শিশুটির বাবা হাবিবুর রহমানকে নিয়ে স্কুলে আসেন তিনি।
স্কুলে ফিরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লিতুন জিরার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি।
হায়দার আলী মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এর আগে লিতুন জিরার বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফীসহ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র। লিতুন জিরা ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা কথা বলে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। লিতুন জিরাকে তার পছন্দের স্কুলে ভর্তি করার জন্য বাবা হাবিবুর রহমানকে অনুরোধও করেন ইউএনও।
ইউএনওর কথা শুনে এবং প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর উপর্যুপরি অনুরোধে দুপুরে মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে যান হাবিবুর রহমান। স্কুলে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির হাজিরা খাতায় তিনি মেয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করান।
গত ২৩ ডিসেম্বর হুইল চেয়ারে চড়ে মা জাহানারা বেগমের সঙ্গে মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যায় লিতুন জিরা। তখন প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী তার প্রতিবন্ধী দশা নিয়ে তিরস্কার করেন। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণে মায়ের সঙ্গে হতবাক হয় লিতুন জিরাও। সুযোগ পেয়েও মনের কষ্টে স্কুলটিতে ভর্তি হয়নি লিতুন জিরা।
(ঢাকাটাইমস/৭জানুয়ারি/এলএ)