মোটরসাইকেলে বেশি মাইলেজ পেতে চাইলে...

অটোমোবাইল ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৩ | প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০০

মোটরসাইকেল চালানোর পর গন্তব্যে যাওয়ার আগেই দেখলেন তেল প্রায় শেষের দিকে। এরকম তেল সংকটে অনেকেরই পড়তে হয়। তেল জোগাড় করার জন্য পাম্পে গিয়ে তেল নিতে হয় নতুবা সময় অপচয় হবে। মোটরসাইকেলে কীভাবে তেল সাশ্রয় করতে হয় অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেলে তেল সাশ্রয়ের কিছু কারিগরি পদ্ধতি জানলে অনায়াসেই তেল সাশ্রয় করা যায়। পদ্ধতিগুলো মোটরসাইকেল চালকদের সুবিধার জন্য দেয়া হলো।

সঠিক গিয়ার

প্রয়োজনের চেয়ে নিচের গিয়ারে এবং উপরে (পাহাড়ে) উঠার সময় ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলে জ্বালানির অপচয় হয়। যখন বাইক উপর গিয়ারের জন্য প্রস্তুত হবে তখন যত দ্রুত সম্ভব গিয়ার উপরে তুলতে হবে এবং সাধারণ সময় স্বাভাবিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে।

শান্তভাবে চালানো

হঠাৎ থেমে গেলে বা আবার চলতে শুরু করলে জ্বালানি অপচয় হয়। তাই সামনের গাড়ির চেয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, এতে যানজটের সাথে তালমিলিয়ে বাইক চালানো সম্ভব হবে।

ধীরে ধীরে গতি বাড়ানো

ইঞ্জিনের বেশি ঘূর্ণন মানেই বেশি পেট্রোলের ব্যবহার। তাই ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি এবং ব্রেক করতে হবে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে যাবে।

স্টার্ট বন্ধ করা

ইঞ্জিন চালু রেখে রাস্তায় থামলে তেলের অপচয় হয়। তাই দীর্ঘ জ্যামে ও রাস্তায় কোথাও থামতে হলে অবশ্যই স্টার্ট বন্ধ করতে হবে।

গতি কমিয়ে রাখা

অতিরিক্ত গতি পরিহার করুন। ৭০ এর বেশি বেগে বাইক চালালে ২৫% বেশি জ্বালানি খরচ হবে।

নিয়মিত টায়ারের চাপ পরীক্ষা

প্রতি মাসে অন্তত একবার এবং দীর্ঘ ভ্রমণের পূর্বে টায়ারের চাপ পরীক্ষা করাতে হবে। কম চাপের টায়ার শুধুমাত্র বিপজ্জনক নয়, জ্বালানির ব্যবহারও বাড়িয়ে দেয়।

কম ওজন

একটি বাইক যত বেশি ওজন বহন করবে তত বেশি জ্বালানি ব্যবহার করবে। তাই দুই জনের বেশি যাত্রী বহন না করাই উচিত।

রক্ষণাবেক্ষণ

নিয়মিত ও ভালোভাবে বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কারণ ত্রুটিপূর্ণ বাইক বেশি জ্বালানি ব্যবহার করে।

গণপরিবহন

বেশি প্রয়োজন না হলে গণপরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জ্বালানির খরচ যেমন বাঁচবে তেমনি শারীরিক কষ্টও কমবে।

রাস্তা নির্ধারণ

অসমতল রাস্তা, ট্রাফিক জ্যাম পূর্ণ রাস্তা তেল খরচ বাড়িয়ে দেয়। সুযোগ থাকলে এসব দিক লক্ষ্য রেখে রাস্তা নির্ধারণ করতে হবে।

নিয়মিত টিউনিং করানো

দক্ষ মেকানিকের মাধ্যমে কার্বোরেটর, ইঞ্জিন টিউনিং করানো উচিত। ইঞ্জিনের শব্দ এবং ধোয়া লক্ষ্য করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

ফুয়েল লিক

তেলের ট্যাংক, তেলের পাইপসহ বিভিন্ন পয়েন্টের জয়েন্ট লিকের জন্য তেল নষ্ট হতে পারে। এইদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

নিয়মিত এয়ার ক্লিনার পরিষ্কার করা

যে সকল কারণে বেশি পরিমাণ তেল খরচ হয় তার মধ্যে অন্যতম হল এয়ার ক্লিনারে জ্যাম থাকা। তাই এয়ার ক্লিনার পরিষ্কার রাখতে হবে, বিশেষ করে যারা গ্রামে/মাটির রাস্তায় চলাচল করে।

(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :