দুদকের মামলায় কলাবাগানের ফিরোজের জামিন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের ওই মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই জামিনের আদেশ দেন।

দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুদকের মামলায় জামিন হলেও কারামুক্ত হতে পারছেন না শফিকুল আলম ফিরোজ। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলোয় এখনো তার জামিন হয়নি।

সম্পদের মামলাটি গত ৩০ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম দায়ের করেন।

জাহরাত অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, তিনি অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৬৮ লাখ দুই হাজার ৬৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৭-১৮ করবর্ষ পর্যন্ত এক কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৪৭০ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। এই সম্পত্তি অর্জনের সপক্ষে কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তার নামে-বেনামে আরও স্থাবর সম্পদ রয়েছে রয়েছে। যা তদন্তকালে তা খতিয়ে দেখা হবে। আরও বলা হয়, শফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ধানমন্ডি ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি এককালীন ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন। তার স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা যায়।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শফিকুল আলমকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করতে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায়। অভিযানকালে সাত প্যাকেট ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান। পরদিন দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর গত ৬ অক্টোবর মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/আরজেড/জেবি)