গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী নির্যাতনের মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
গাইবান্ধা জেলা শহরের কাচারিবাজারে পুরাতন জজকোর্ট চত্বরে জিহাদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা জজকোর্টে আমলি আদালতের (সদর) বিচারক নজরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরের পুরাতন জজকোর্টের সামনে জিহাদ হোসেনের বাবার একটি দোকান আছে। এই দোকানটি আলমগীর হোসেন নামে একজনকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। পুরাতন জজকোর্ট চত্বরেই মাহাবুবার রহমান বাবুলেরও একটি কনফেকশনারির দোকান আছে। জিহাদ হোসেনের দোকানের পেছনে রাখা একটি জায়গায় ওয়েল্ডিং মেশিন ও অ্যাঙ্গেলসহ কিছু মালামাল রাখা ছিল। ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সেসব মালামালসহ বাবুল ইটের গাঁথুনি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে জিহাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাকে বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলা, শাপলা মিয়া, শারবিন মোস্তাফিজ, মো. রবিন ও সোহেল মিয়া মারধর করেন। এরপর আলমগীর হোসেনের দোকানে ঢুকে ভাঙচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করেন ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে বাবুলসহ অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হলে জিহাদ হোসেনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জিহাদ হোসেনের স্ত্রী ববি বেগম এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান গত ফেব্রুয়ারিতে বাদীর অভিযোগ ৩২৩ ধারায় তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়েছে এমনটি উল্লেখ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট গাইবান্ধা আদালতে জমা দেন। পরে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দেন বাদী ববি বেগম। পরে অধিকতর তদন্তের জন্য বুধবার গাইবান্ধা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
ববি বেগম বলেন, পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে। তাই আদালতে আমি নারাজি আবেদন করেছি অধিকতর তদন্তের জন্য।
(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/কেএম/এলএ)