হাইমচর উপজেলা নির্বাচন: শেষ মুহূর্তের প্রচারে প্রার্থীরা

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ২১:২২

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর

চাঁদপুর জেলায় এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উপজেলার ভোটারদের কাছে ইভিএম নতুন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আগ থেকেই কেন্দ্রগুলোর অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন, বিএনপি থেকে একজন ও স্বতন্ত্র একজন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আটজন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজার ২৩৪ জন। পুরুষ ভোটার ৪১ হাজার ৪১৭ এবং নারী ভোটার ৩৮ হাজার ৮১৭ জন। ৩১টি ভোট কেন্দ্রের ২০০ কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়িতে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। তবে ভোটাররাও যোগ্যতা দেখেই প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে জানাচ্ছেন।

আলাপকালে উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের ভোটার হাসমত উল্যাহ ও করিম সর্দার বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নতুন হলেও মক ভোটিং করে আমাদের ভোট পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।  

তবে নতুন ভোটার জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলার জন্য যে প্রার্থী উন্নয়নমূলক কাজ করবে, বিগত দিনে যারা উন্নয়ন করেছে তাদেরকেই ভোট দেব।

নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। গত ৫ বছরে আমি শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। আমি মনে করব, উপজেলার উন্নয়নে ভোটাররা আবারও নৌকা মার্কাকে নির্বাচিত করবে।

বিএনপির ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী ইছাহাক খোকন বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে আমরা অবশ্যই নির্বাচিত হব। কারণ এই উপজেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার ধানের শীষের সমর্থক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালেব জমাদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। ইতোমধ্যে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিলে আমি জয়ী হব।

হাইমচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিপন হোসেন বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ার কারণে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং হিসেবে দায়িত্বপালনকারী সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এমনকি উপজেলায় প্রচার প্রচারণা ও মাইকিং করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ভোটগ্রহণের দিন তিন প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, পর্যাপ্ত র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে নিরাপত্তায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/কেএম/এলএ)