ভোটের আগে প্রচারযুদ্ধ

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:০৪

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। সেই হিসেবে তারা ১৮ দিনের প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাবেন। দুই সিটিতে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ মিলিয়ে মোট ৭৫৮ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন এবার।

শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এনআইএলজি) উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা এবং গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণের রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদের প্রার্থীরা প্রতীক বুঝে নেন।

মেয়র পদে দুই সিটির ১৩ প্রার্থীর সবাই ইসিতে নিবন্ধিত দলের মনোনীত হওয়ায় যার যার দলীয় প্রতীক নিয়েই তারা লড়বেন। আর কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে ইসিতে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা থেকে বরাদ্দ করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

মেয়র পদে কার কী প্রতীক

ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আতিকুল ইসলাম। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক।

উত্তরে মেয়র পদে প্রতীক পেয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন পিডিবির প্রার্থী শাহিন খান, প্রতীক বাঘ; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ, প্রতীক ‘হাতপাখা’; সিপিবির আহমেদ সাজেদুল হক, প্রতীক ‘কাস্তে’ ও এলডিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ‘আম’ প্রতীক।

অন্যদিকে দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘নৌকা’ প্রতীক বরাদ্দ পান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আর ‘ধানের শীষ’ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

এই দুজন ছাড়াও এই সিটিতে মেয়র পদে প্রতীক পেয়েছেন আরও পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, প্রতীক ‘লাঙ্গল’; ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান, প্রতীক ‘হাতপাখা’; ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার, প্রতীক ‘আম’; বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারউজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, প্রতীখ ‘ডাব’ এবং গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন পেয়েছেন ‘মাছ’ প্রতীক।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা যা বললেন

প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়টি ‘কঠোরভাবে’ তদারকি করবেন তারা। যদিও বিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক পাওয়ার কদিন আগে থেকেই বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। আর এ নিয়ে ইসিতে অভিযোগও হয়েছে।

উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ‘আজ থেকে ভোটের যুদ্ধ চলে যাচ্ছে মাঠে। এই মাঠকে কোনো ক্রমেই আমরা ঘোলাটে করতে দেব না। আমার জীবনে সবসময় অনুরোধ করে আসছি, কখনো ‘নির্দেশ’ কথাটা বলি না। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে বলতেই হচ্ছে। এই নির্বাচন যেন উৎসব হতে পারে, সেই চেষ্টা থাকবে। এটাকে কোনো ক্রমেই সংঘর্ষের রূপ নিতে দেব না। মলিন হতে দেব না।’

আর দক্ষিণের রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘প্রার্থীরা এখন আইন মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করা যাবে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। সেখানে শুধু নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন।

‘কোনো ধরনের মিছিল, শো-ডাউন, বড় ধরনের জনসভা ও তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তবে ঘরোয়া বৈঠকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।’

তিনি জানান, অনেক প্রার্থীর পক্ষে আগেই পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদারকি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হয়। ঢাকা উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। আর দক্ষিণে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৩৫ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে মোট ৮২ জন এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৩ হাজার ১০৯ জন। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। দক্ষিণে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। ৩০ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন ভোটাররা।

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/জেআর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :