চলনবিলে ব্যস্ত পাঁচ শতাধিক মৌ-চাষি

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৩২

শায়লা পারভীন, ঢাকাটাইমস

চলনবিলের মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। যে দিকে তাকানো যায় চারিদিকে হলুদের সমারোহে প্রাণ জুড়ে যায়। যেন প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য। হলুদ ফুলে সুশোভিত মাঠে ভ্রমর পাখা মেলেছে। ভ্রমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আনন্দিত। এ বছর চলনবিলে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাঁচ শতাধিক মৌ-চাষি মৌবাক্স নিয়ে চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে তাদের মধু সংগ্রহের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে আসা মৌ-চাষি আরিফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, প্রতি বছরই চলনবিলে তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমাদের মৌচাষিরা ঘর তৈরি করেন। সেখানে সরিষা মৌসুমে মধু সংগহের জন্য সবাই আসেন।

চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার এ মৌসুমে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে।

‘আল্লাহর দোয়া’ নামে মৌ-চাষি ও মধু সংগ্রহের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা ঢাকা টাইমসকে জানান, সরিষার জমির পাশে মৌবাক্স থেকে মৌমাছি ছেড়ে দেয়া হয়। মৌমাছির দল সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে বাক্সে থাকা মৌচাকে এসে মধু জমা করে। পরে তারা সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বর্তমানে প্রতিমণ মধু বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা করে। তবে এ বছর চলনবিল এলাকায় সরিষার আবাদ একটু কম হয়েছে। এ জন্য হয়তো গত বছরের তুলনায় মধু সংগ্রহ কম হবে বলে জানান। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার চার শতাধিক মৌ-চাষি হাজার হাজার মৌ-বাক্স ফসলি মাঠে স্থাপন করে মধু সংগ্রহে নেমে পড়েছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা ঢাকা টাইমসকে জানান, চলনবিল এলাকার বিস্ত্রীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। আর এখানে মধু চাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার ভালো হবে এবং মধু সংগ্রহ করতে পারবে মধু চাষিরা।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/কেএম/জেবি)