নাগরপুরে ‘শেখ হাসিনা সেতু’তে খানাখন্দ, দুর্ঘটনার শঙ্কা

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১৩

সড়কের উপর খানাখন্দ প্রায়ই দেখা যায়। এবার সেতুর উপরও দেখা মিলল খানাখন্দের। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর উপরিভাগের ঢালাই উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সেতু নির্মাণের দুই বছরের মাথায় এভাবে ভেঙে গর্ত হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে সেতু বুঝে নেওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, এ সেতুর কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বিধায় প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগরপুর-মির্জাপুর সড়কের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নাগরপুর উপজেলার কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ৫২০.৬০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের প্রথম দিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের শেষের দিকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় সেতুটি। কিন্তু এত অল্প সময়ের ব্যবধানে সেতুর এমন বেহাল দশায় নির্মাণশৈলী নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী।

সরেজমিনে সেতুতে দেখা গেছে, সেতুর বিভিন্ন স্থানে উপরিভাগের ঢালাইকৃত ওয়ারিং কোর্স (পাথর, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা) ভেঙে স্তূপ হয়ে রয়েছে। এর ওপর দিয়ে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এসবি লিংক পরিবহনের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি এ সেতুর ঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল বলেই আজ আবার সেতুর এ অবস্থা হয়েছে। আমরা গাড়ি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে যেতে আতঙ্কের মধ্যে থাকি।

স্থানীয়রা জানান, সেতুতে বেশ কয়েকবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজনের প্রানহানি ঘটেছে। তাই দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে সেতুটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হলেও গত এক বছর আগে তা সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান জানান, নাগরপুরের কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুটি এক বছর আগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেও এর কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি। তাই এর যথাযথ সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে। কাগজপত্র হাতে পেলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলেও জানান এই প্রকৌশলী।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :