ভোট পেছানোর দাবি

পদযাত্রায় বাধা পেয়ে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৫৯ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২৩

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাওয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেছে।

বুধবার দুপুর বারোটার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর দুটার দিকে ইসি অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে তারা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেয়। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নির্বাচন পেছানোর দাবিতে গতকাল হাইকোর্টে করা রিট খারিজ করেন আদালত। এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিকালে শাহবাগ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে নির্বাচনের তারিখ পেছানো না হলে ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।

আগের দিনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার দুপুরে পদযাত্রা শুরুর করার আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

এতে ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সহসাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং ডাকসুর সদস্য তাসভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন হলের কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত বরদাশত করতে পারে না, যা সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত। আমরা আগেও বলেছি আমাদেরকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে আপনারা আপনাদের সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন না। অনতিবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করুন।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে সাদ্দাম বলেন, ‘আপনাদের কিসের এত একগুঁয়েমি। নির্বাচন কমিশন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।’

প্রার্থীদের উদ্দেশে ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা (প্রার্থীরা) কথা বলুন। আপনারা যদি কথা না বলেন তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য লজ্জার এবং দুঃখের।’

পরে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা সহকারে ইসি অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। কিছু সময় পর আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত করে চলে যায় শিক্ষার্থীরা।

ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর