নীলফামারী ও বরগুনার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ ফল স্থগিত

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৯ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নীলফামারী জেলার ২৬৬ এবং বরগুনার ৪০৩ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আইন ভঙ্গ করে প্রকাশিত ফলাফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় সচিবসহ মোট ১০ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে  বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার বাবুল আহমেদ। আদেশের বিষয়টি এই আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।

অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে নীলফামারীর মাইনুর তাজনীনসহ ২০ জন এবং বরগুনায় পিংকি রানী রায় নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই দুই জেলার ফলাফল স্থগিত করে রুল জারি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এআইএম/জেবি)