আর কত বয়স হলে ভাতা পাবেন বৃদ্ধ চন্দনা!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ২২:২৫ | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৫০

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শবদলপুর গ্রামের চন্দনা সরকারের বয়স ৮৮। সাত বছর আগে স্বামী পতিত পাবন সরকার মারা গেছেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ের মা তিনি। থাকেন অসুস্থ ছেলে জয়দেব সরকারের কাছে। জয়দেব নিজে ও তার স্ত্রী সুলতা সরকারও অসুস্থ। পুতনি খলিষানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঠাকুর মাকেও দেখভাল করেন তিনি। তাই এখনো পর্যন্ত কোনো রকমে বেঁচে আছেন চন্দনা সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে শবদলপুর গ্রামে গেলে আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, ছেলেদের অনেকেরই ভালো চলে। কিন্তু তারা তেমন কোনো খোঁজ নেয় না। অর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় তার কাপড়-চোপড়ও ঠিক মতো কেনা হয় না। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের বলেও এতদিনে একটি বিধবা ভাতা বা বার্ধক্য ভাতার কার্ড জোটেনি। বড় লোকদের জন্য কম্বল জুটলেও প্রচণ্ড শীতে তিনি একটি কম্বল পাননি। আর কত বয়স হলে বিধবাভাতা বা বার্ধক্যভাতা কপালে জুটবে তা তিনি জানেন না। এ নিয়ে হতাশ চন্দনা সরকারের ছেলে জয়দেব ও পুত্রবধূ সুলতা সরকার।

ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, শুধু কম্বল কেন, বার্ধক্য ভাতার কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাকে বলেনি। এবার তিনি উদ্যোগ নেবেন।

এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আরিফ রেজা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাছাড়া ওই কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান। কিন্তু ৮৮ বছর বয়স হওয়ার পরও না পাওয়াটা দুঃখজনক। আগামীকাল আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :