মাদারীপুরে জোড়া খুনের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ
মাদারীপুরের উত্তর হোসেনপুর গ্রামে দুই পক্ষে সংঘর্ষে দুজনকে হত্যার পাঁচ দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজন। পরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেলোয়ার মুনশির সঙ্গে একই এলাকার জামাল খালাসির দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত ১০ জানুয়ারি ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেলোয়ার মুন্সীর লোকজন বাবুল খালাসি, জামাল খালাসি, জুলফিকার খালাসি ও তাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই সংঘর্ষের ঘনটনায় মারাত্মক আহত বাবুল মুন্সী ও জুলফিকার খালাসি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মামলায় হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, দেলোয়ার মেম্বার, আয়নাল শেখ, মোমরেচ খালাসিসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে রাজৈর থানায় এ মামলা করেন নিহত জুলফিকার খালাসির ছোট ভাই শদি খালাসি।
এদিকে নৃশংস দুই খুনের ঘটনার পর পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা ধরনের কানাঘুষা চলছে। আসামি ধরতে না পারায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা প্রতিনিয়ত রাজৈরে বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে। যদিও আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজৈর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শান্তি রঞ্জন দাস, হরিদাসদী-মহেন্দীর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, নিহত জুলফিকার খালাসির মেয়ে মরিয়ন আক্তার, নিহত বাবুল মুন্সীর ছেলে প্রমুখ।
পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামে কাছে বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার সওকত জাহান জানান, দুজন খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার ব্যাপারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/কেএম/এলএ)