হাজিরা ফাঁকি দিতে অচল করল বায়োমেট্রিক মেশিন

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৭ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হাজিরা ফাঁকি দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের বায়োমেট্রিক মেশিন অচল করে দিয়েছেন ওই হাসপাতালেরই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। এ ঘটনায় জড়িত পরিচ্ছনতা কর্মী ফারুক মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় অভিযোগও দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে স্থাপিত বায়োমেট্রিক মেশিনটিতে পানি ঢুকিয়ে দেয় পরিচ্ছন্নতা কর্মী ফারুক মিয়া। তিন মিনিট সময়ের মধ্যে কাজ করে সটকে পড়ে সে। ঘটনাটি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। মেশিনটি অচল হয়ে পড়লে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। এর সপ্তাহখানেক আগেও মেশিনটি একবার অচল করা হয়েছিল। তখন কেউ সাবোটাজ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষের এমন সন্দেহ হলে প্রশাসনিক ব্লকে বায়োমেট্রিক স্থাপিত স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, অফিস ফাঁকি দিতে অসৎ কর্মচারীদের একটি চক্র ফারুকের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক মেশিনটি অচল করিয়েছে।

রাত্রিকালীন ডিউটি শেষে ফেরার পথে ফারুক প্রশাসনিক ব্লকে ঢুকে মেশিনটিতে সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকিয়ে দেয়।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক শওকত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে কর্মরতরা হাজিরা দেয়ার জন্যে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান মেশিনটি অচল। এর ভেতর থেকে পানির ফোটা পড়ছে। ভেতরেও পানি আছে বলে বুঝা যায়। পরে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখি পরিচ্ছন্নতা কর্মী ফারুক সিরিঞ্জের মাধ্যমে এটিতে সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট থেকে ৬টার মধ্যে পানি ঢুকিয়েছে। ওইদিনই পরিচ্ছনতা কর্মী ফারুক মিয়াকে সরকারি সম্পদ নষ্ট করার অপরাধে সাময়িক বরখাস্ত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

থানায় ফারুকের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্নসহ সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম বাধা করার চক্রান্তে লিপ্ত ফারুক। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নষ্ট করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয় অভিযোগে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছি। এরপরই এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০১৮ সাল থেকে হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী বায়োমেট্রিক মেশিনের মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে আসছেন। অক্টোবর মাসে নতুন বায়োমেট্রিক মেশিনটি বসানো হয়। মোট ২৮০ জন স্টাফ এই মেশিনের মাধ্যমে হাজিরা দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/কেএম/এলএ)