ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকার কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে তাকে ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় হাজির করা হয়। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মজনু জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এর আগে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলায় গত ৯ জানুয়ারি মজনুকে ৭ দিনের রিমান্ডে পায় গোয়েন্দা পুলিশ। রিমান্ড শেষের আগের দিন গতকাল তদন্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে খাস কামরায় নেয়া হয়।

এ ঘটনায় গত ১০ জানুয়ারি ওই ছাত্রী ঢাকার মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরার কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। বিচারক ২৮ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার দিন রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরদিন অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

আলোচিত ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়। আর তিন দিনের মাথায় ৩০ বছর বয়সি মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব জানায়, মজনু ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। তিনি বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক নারীদের ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীও তাকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেছেন বলে র‌্যাব সেসময় জানায়।

পুলিশের এই এলিট ফোর্সটির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘মাদকাসক্ত’ মজনু স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে পেশা হিসেবে দিনমজুরি ও হকারির কথা বললেও মজনু ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মতো কাজেও’ জড়িত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/ডিএম