ভিক্ষা ছেড়ে হেডফোন বিক্রেতা ইমন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৩১ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১১

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস

ইমন। বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। হতদরিদ্র সংসারে জন্ম হওয়ায় ক্ষুধা মেটাতে ছোটবেলা থেকেই হাতে নেয় ভিক্ষার ঝুলি। ভিক্ষাকে নিকৃষ্ট পেশা জেনেও জীবনের তাগিদে দীর্ঘদিন করেছে ভিক্ষা। মানুষ দেখলেই দৌড়ে গিয়ে বলত, ‘স্যার কয়ডা টাকা দিবেন। কিছু খামু!’ অধিকাংশ মানুষই ফিরিয়ে দিত। কেউ কেউ গালমন্দ করত।

এখন ইমনের সেই সময়টা পাল্টে গেছে। এখন আর ভিক্ষাবৃত্তি করে না এই কিশোর। লজ্জাকর এই পেশা ছেড়ে দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চায়। তাই তো ভিক্ষা ছেড়ে বিক্রি করে হেডফোন। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই পরিবারকে সহযোগিতা করে।

মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ মোড়ে দেখা মিলবে ইমনের। সেখানে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে হেডফোন নিতে ডাকাডাকি করে। কিন্তু হাত পাতে না। বলে, ‘ভাই, একটা হেডফোন কিনবেন? একদাম ৩০ টাকা।’
ইমনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার জায়গা ও পোশাক আগেরটাই আছে। পরিবর্তন হয়েছে শুধু পরিচয়। ভিক্ষুক থেকে ইমন এখন ব্যবসায়ী। একটা হেডফোন বিক্রি করলে সে ১০ টাকা লাভ পায়। ১০টা বিক্রি করতে পারলে ১০০ টাকা। আর এই আয় দিয়েই পরিবারকে সহযোগিতা করে ছোট এই কিশোর।

ইমন বলে, ‘ছোট থেকে ভিক্ষা করে বড় হইছি। এখন ভিক্ষা করতে শরম লাগে। তাই হেডফোন বেচি ট্যাকা কামাই।’


অনুরোধ, যদি খুব ক্ষতি না হয়, ইমনদের থেকে পণ্য কিনুন। কোথাও না কোথাও থেকে তো কেনা হয়। ওদের থেকেই কিনুন। ওদের জীবন, পরিচয় বদলাতে সহযোগিতা করুন।

 

ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/কারই/এমআর