সচেতনতায় বজ্রপাতের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর বজ্রপাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বজ্রপাত মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তবে সচেতনতার মাধ্যমে দুটোই কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপশি সচেতনতা মূলক কার্যক্রম।

শুক্রবার সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট (বাসা) এর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ ড. মুনির আহমেদ বলেন,২০১৯ সালে সাতমাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ২৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সময়ে বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন ৯৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৬ জন শিশু, ৮ জন কিশোর-কিশোরী এবং ২০২ জন পুরুষ রয়েছেন।

তিনি বলেন,এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করা। ইউরোপের অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেস্টবুকের পাশাপশি বজ্রপাত বিষয়ে পড়ানো হয়।

এসএসটিএফের সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, বজ্রপাত মোকাবেলা করা সম্ভভ নয়। তবে সচেতনতার মাধ্যমে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, বুয়েট, দুর্যোগ ফোরাম, গণমাধ্যমের তথ্য ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাব মতে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত বজ্রপাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

এছাড়া, সার্কভুক্ত  দেশগুলোর মধ্যে বজ্রপাতের সংখ্যা ও প্রাণহানির দিক দিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। সার্কভুক্ত অন্য দেশের তুলনায় মৃত্যুর হারও বেশি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসা’র পরিচালক একেএম সাইফুল ইসলাম, ড. মুনির আহমেদ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার লিটন কুমার দত্ত, সাজেদুল ইসলাম এবং  সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা ও গবেষণা সেল প্রধান আব্দুল আলীম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/বিইউ)