যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারকে দুমড়ে-মুচড়ে দিল বাস

নরসিংদীর শিবপুরে একটি যাত্রবাহী প্রাইভেটকারকে বাস চাপ দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কারচালক উজ্জ্বল মিয়া নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন একই পরিবারের চারজন। আহতরা ওই প্রাইভেটকারটির যাত্রী।

শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চৈতন্যা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জ্বল মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে।

আহতরা হলেন- শিবপুরের যশোর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আবদুল আজিজ (৫০), হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৫৪) ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেনের ছেলে মাশরাফি (২২)। আহতদের সবাই একই পরিবারের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, প্রাইভেটকারটি চৈতন্যা বাজার এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘যাতায়াত পরিবহনে’র একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়। এই সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় আহত পাঁচজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাইভেটকারটির চালক উজ্জ্বল মিয়া মারা যান।

আবদুল আওয়াল নামে আহত পরিবারটির একজন সদস্য জানান, রায়পুরার আদিয়াবাদে মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের সাত সদস্য। ওই প্রাইভেটকারে করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটল।

জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এএনএম মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে উজ্জ্বল নামে একজন মারা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনসহ আহত তিন ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জায়েদুল হক জানান, অসতর্ক অবস্থায় মহাসড়ক পার হতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটল। বাস ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ঘটনার পরই পালিয়ে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এলএ)