মাসে দেড় লাখ টাকা ‘চাঁদা’ নেন খুলনার টিআই!

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৪৯ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২২

সোহাগ দেওয়ান, খুলনা

বেঁধে দেওয়া চাঁদা দিলে দেখা হয় না পরিবহনের ত্রুটি-অনিয়ম। আর সময়মতো চাঁদা পরিশোধ না করলে শুরু হয় হয়রানি। এই রফায় খুলনা মেট্রোপলিটন ট্রাফিকের নামে মহানগরীর বাস কাউন্টারগুলো থেকে মাসে দেড় লাখ টাকা তোলেন একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর।

ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার সূত্রে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরিবহন ম্যানেজার জানান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কবির হোসেন প্রতি মাসের শুরুতে কেএমপির নামে ওই চাঁদা নেন।

অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই প্রতিনিধি বেশ কয়েকটি পরিবহনের হিসাব খাতায় চাঁদা পরিশোধের সত্যতা পান। কাউন্টার প্রতি মাসে চার হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেন টিআই কবির হোসেন।

ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের প্রধান কাউন্টার রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায়। এসব কাউন্টারের ম্যানেজারসহ হিসাবরক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে মূলত চাঁদা আদায়ের কাজটি করেন টিআই কবির হোসেন। পরিবহনের বিভিন্ন কাগজপত্রে ত্রুটি ও কিছু অনিয়মের সহায়ক হিসেবে ওই চাঁদা দেন তারা।

ঢাকা-খুলনাগামী একটি পরিবহনের ম্যানেজার জানান, কেউ চাঁদা দিতে দেরি করলে তার পরিবহনের বিরুদ্ধে নানা সমস্যা দেখিয়ে হেনস্তা করা হয়। তাই সময়মতো নির্ধারিত চাঁদা শোধ করতে বাধ্য থাকেন সবাই।

কেএমপি ট্রাফিকের নামে চাঁদা তোলার এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন টিআই কবির হোসেন। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা এ অভিযোগ সত্য নয়।’

কেএমপির কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির টিআই কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ ধরনের অনিয়মের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমিশনার আরও বলেন, তিনি কেএমপিতে যোগদানের পর পুরনো সব অনিয়ম থেকে সরে আসতে প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগের চেয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/ইএস/মোআ)