আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ইজতেমা

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৩৪ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমা। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের এই বিশ্ব সম্মিলন এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। শেষ পর্বে অংশ নেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আর প্রথম পর্বে ইজতেমা করেন সাদবিরোধীরা। 

রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে অনুষ্ঠিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা জামশেদ। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে চলে মোনাজাত। এর আগে তিনি হেদায়াতি বয়ান করেন।

দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেন। সকাল ১০টার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

আখেরি মোনাজাতের জন্য রবিবার ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল থেকে আসা গাড়িগুলো ভোগড়া বাইপাস এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। সিলেট রুটের গাড়িগুলো মিরের বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়া সাভার ও আশুলিয়া থেকে আসা গাড়িগুলো কামারপাড়া ব্রিজের আগেই থামানো হয়।

গত ৯ জানুয়ারি বাদ মাগরিব আম বয়ানে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে ১২ জানুয়ারি (রবিবার) আখেরি মোনাজাতে শেষ হয় প্রথম পর্ব। ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকালে প্রাক বয়ানে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানে একইভাবে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

২০১০ সাল পর্যন্ত ইজতেমা একপর্বেই অনুষ্ঠিত হতো। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সাল থেকে ইজতেমা হয়ে আসছে দুই পর্বে। তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে গত বছর থেকে ইজতেমা বাহ্যত দুই পর্বে হলেও বিবদমান দুটি অংশ পৃথক পৃথক নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবার প্রথম পর্বের তিন দিন ইজতেমা করেন আলমি শূরার অনুসারীরা, যারা মাওলানা সাদের বিরোধী। আর এবারের তিন দিন করছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।

 

দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এবং মতাদর্শকে কেন্দ্র করেই মূলত তাবলিগ জামাতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। তবে বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে ইজতেমায় এসেও ফিরে যেতে হয় মাওলানা সাদকে। এরপর থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসতে পারেননি।   

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/জেবি)